আদিবাসী

মুন্ডা পাহানদের নানা মন্ত্র

শিকারগুলো গোটা গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে সমহারে বণ্টন করা হয়। এই সমবণ্টন রীতির কারণেই শত দারিদ্র্যের মাঝেও যুগ যুগ ধরে টিকে আছে আদিবাসীরা

গন্তব্য আমাদের উত্তর গোদাবাড়ি গ্রাম। দিনাজপুরের সীমান্তঘেঁষা শালবনের ভেতর এ গ্রামটি। গহীন শালবনের ভেতরই পাড়া করে বাস করে নানা ভাষাভাষীর আদিবাসীরা।

এ আদিবাসী গ্রামটিতে এসেছিলাম বছর চারেক আগেও। এ গ্রামে ৩০টির মতো মুন্ডা পাহান পরিবারের বাস। ওইসময় নানা কথা হয়েছিল গ্রামপ্রধান বা মন্ডল মাঠু পাহানের সঙ্গে।

গ্রামে ঢুকেই প্রথমই পা রাখি মাঠু পাহানের বাড়িতে। বাড়ির ঘরগুলো ঠিক আগের মতোই আছে। মাটি আর ছনে ছাওয়া। মাঠুর নাম ধরে ডাকতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন তার বড় ছেলে হরিস পাহান। জানালেন দুঃসংবাদটি। তার বাবা মাঠু মারা গেছেন দু’বছর আগেই। বছর চারেক আগে আমার তোলা মাঠুর ছবিটিই এখন হারিসের কাছে বাবার একমাত্র স্মৃতিচিহ্ন।

চার বছরে এখানকার আদিবাসীরা হারিয়েছেন মাঠু পাহানের মতো আরো চারজন বয়োবৃদ্ধকে, যারা জানতেন মুন্ডা পাহানদের আদি রীতিনীতি ও আচার। জানতেন আদিবাসী ভাষা, মিথ ও উপকথা। সময়ের হাওয়ায় বদলে যাচ্ছে এর অনেকটাই। এভাবে আদিবাসী সমাজ থেকে বয়োবৃদ্ধদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মূলত হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মৌখিক ভাষা, লোককাহিনি আর আদি বিশ্বাসগুলো।

মাঠু পাহানের মৃত্যুর পর গ্রামপ্রধান হন মধ্যবয়সী নিমাই পাহান। আমাদের সংবাদ পেয়ে আসেন টেম্প পাহানও। তার বয়স ষাটের মতো। গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি বলতে এখন তিনিই। গ্রামটি ঘুরতে ঘুরতে তার সঙ্গে আলাপ হয়।

মুন্ডাদের সঙ্গে আচারগত কিছু পার্থক্য থাকলেও পাহানরা নিজেদেরকে ‘মুন্ডা পাহান’ হিসেবে পরিচয় দিতেই পছন্দ করে। তাদের সমাজে গোত্রভাগ রয়েছে। গোত্রগুলো বিভিন্ন পশুপাখির নামে হয়ে থাকে। একই গোত্রে তাদের বিয়ে নিষিদ্ধ। গোত্রগুলোর নাম জানতে চাইলে টেম্প হরহর বলতে থাকেন তিংকী, দুরা, হেমব্রম, তোমগড়িয়া, কেরকাটা, বাঘোয়ার, সঘুয়ার, হরদুয়ার ও সপুয়ার প্রভৃতি।

এ আদিবাসীদের গ্রামগুলো পরিচালিত হয় এক একটি গ্রাম পরিষদের মাধ্যমে। মন্ডল ছাড়াও রয়েছে বারঘা ও পরানিক নামে দুটি পদ। বারঘা মন্ডলের পরামর্শে হুকুম করেন আর পরানিক তা সবাইকে জানিয়ে দেন। পদগুলো তারা নির্ধারণ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবার মতামতের ভিত্তিতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য তৈরি হয় না। জানা যায়, এ গ্রামের বারঘা দলিল পাহান আর পরানিক বিষ্ণু পাহান, তারা নির্বাচিত হয়েছেন বছর খানিক আগে।

মনের চোখে মাঠু পাহানের মুখটি বারবার ভেসে উঠছিল। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও তাকে কবর দেওয়া হয়েছে গ্রামের কাছেই। টেম্প পাহানের মুখে শুনি মৃত্যুর পর পাহানদের আচারগুলোর কথা। মুন্ডা পাহান আদিবাসীরা মৃতদেহকে গোসল করিয়ে বাঁশের মাচায় করে নিয়ে যায় সমাধিস্থলে। মৃতদেহ মাটিচাপা দিয়ে তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে। তারপর গোত্রের একজন বয়োবৃদ্ধকে মন্ত্র পড়ে ওই জায়গাটিকে বন্ দিতে হয়। টেম্পর ভাষায় মন্ত্রটি এমন- ‘বাড়ি থেকে বাহির হইলাম গুরু, ডাইন বান্ধ গুরু, বান্ধে স্বর্গে মানুষের, সেইজনের দোয়াতে বান্ধে রাখিতে হয়। ঢাক বাজে, কড়া বাজে সাজিয়া নিল ওকে। আমরা সোনার পালঙ্কে দিয়ে লেইকে যাইয়েই লা।’

এ আদিবাসীরা মৃত্যুর ১৩ দিনের দিন ‘ঘাটকামান’ আচার পালন করে। পরে আয়োজন করা হয় শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের। মাটির দেওয়াল ঘেরা পায়রো পাহানের বাড়িতে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে। উঠানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে বাদামি রঙের গাছের শিকড় বিশেষ। এককোণে বসে সেগুলো কাটছেন পায়রো। বয়স পঞ্চাশের মতো। কী কাটছেন? প্রশ্ন করতেই পায়রোর উত্তর- ‘পেন্টি কান্দা (আলু)’।

সময়টা ছিল কার্তিক। মুন্ডা পাহানরা মূলত কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাই ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক এই তিনমাস তাদের ঘরে অভাব থাকে। এ সময়টায় কোনো কাজ থাকে না। ফলে খাবারের জন্য তারা এসময় বন থেকে কুড়িয়ে আনে জংলি আলু। এদের ভাষায় ‘পেন্টি কান্দা’। এ আদিবাসীরা বলে, ‘জঙ্গলকার কান্দা খাইয়ে লা’। পায়রো পাহান জানায় তারা বন থেকে দুই ধরনের আলু সংগ্রহ করে। ‘পেন্টি কান্দা’ সবসময় খাওয়া যায়। কিন্তু ‘গেঠি কান্দা’ তেতো হওয়ায় বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাওয়ার উপযোগী করে নিতে হয়। এ প্রক্রিয়াটি বেশ কষ্টকর।

‘গেঠি কান্দা’ প্রথমে কেটে একদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। পরদিন সেটি আবার পরিষ্কার ও সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিতে হয়। তারপর শুকিয়ে প্রয়োজনমতো লবণ ও হলুদ দিয়ে খাওয়া হয়। এই গেঠি কান্দা নিয়ে মুন্ডা পাহানদের মধ্যে চালু রয়েছে কল্পিত গীত। পায়রোর ভাষায়, ‘মায়ে বেটি বোনে গেল, গেঠি কান্দা খড়ি লেল, বোঝা ভইর কাঠি বান্ধ’।

পাহান গ্রামের সবচেয়ে শিক্ষিত ছেলেটি সুখদেব পাহান। পড়ছে কালিয়াগঞ্জ এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে। নবম শ্রেণিতে। জন্ম থেকেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত সে। দু’হাতের বুড়ো দুটি আঙুল কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। তবুও তার বাবা তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। কষ্ট করে হলেও তাকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। একদিন ছেলে বড় মানুষ হবে। পরিবার ও পাহান আদিবাসীদের মুখে হাসি ফোটাবে। এমনটাই বিশ্বাস বাবা খোকা পাহানের।

সুখদেবদের বাড়িতেই আমরা আসন গাড়ি। গ্রামের অনেকেই জড় হয় সেখানে। মুন্ডা পাহানরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ‘নাগরি ভাষায়’। ভাষা বোঝাতে সুখদেব আমাদের সাহায্য করে। এ আদিবাসী ভাষার লিখিত কোন বর্ণ নেই। সূর্যকে এরা ‘বেলা’, সকালকে ‘বিহান’, রাতকে ‘রাতি’, খরগোশকে ‘লাম্ভা’ বলে। তোমার নাম কী? বাক্যটিকে তারা বলে- ‘তোর নাম কয়?’ তুমি কেমন আছ? বাক্যটিকে বলে ‘তয় কিমন হিম?’

গোদাবাড়ি গ্রামের মুন্ডা পাহানরা একসময় চিকিৎসার জন্য নির্ভর করত কবিরাজের ওপর। তাদের ভাষায় বলে ‘মাহান’। এই গ্রামের নামকরা মাহান ছিলেন কন্দুর পাহান। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে টেম্প এখন মাহানের কাজ করছেন। বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের যুগেও এ আদিবাসীরা জ্বর ও মাথা ব্যথা হলেই ছোটে টেম্পর কাছে। তিন ফুঁ দিয়ে মাথাব্যথা ও জ্বর ভাল করে দেন তিনি।

কীভাবে করেন? এমন প্রশ্নে টেম্প বলেন, ‘মাহানদের খারাপ কাজ করলে চলবে না। মিথ্যা কথা বলা যায় না। কারও অমঙ্গলের কথা চিন্তা করলে এই শক্তি থাকবে না। সবকিছু করেন ভগবান। আমরা মাধ্যম মাত্র।’ এক দমে তিনি শোনান মাথা ব্যথার মন্ত্রটি- ‘মাথার বিষ/ কে জারে, গুরু জারে।/ আধ কপালের বিষ/ কে জারে, গুরু জারে।/ গুরু গিয়া জারে/ কুমরে কুমচিয়া দোহায়।’

এমনকি সাপে কাটা রোগীকেও টেম্প মন্ত্রবলে সুস্থ করে তোলেন। তাই সাপে কাটলে আশপাশের গ্রামের মানুষও খোঁজ করে তার। কীভাবে করেন? জানতে চাইলে টেম্প বলেন, ‘বিষ নামাতে নিমের ডাল লাগে। ডাল রোগীর সারাশরীরে স্পর্শ করে করে মন্ত্র পড়তে হয়। মন্ত্র পড়তে হবে তিন ধাপে। এক দমে। মন্ত্রে একটু হেরফের হলেই বিষ নামবে না। উল্টো রোগী মারা যাবে।’ প্রথম ধাপের মন্ত্রটি শুনি টেম্পর মুখে। তিনি এক দমে বলেন- ‘এখানে পুশকানি/ চারখানি ঘা/ তাতে ছিল পদ্মমারী পাত।/ পদ্মকুমারি বাপা মায়ে নাম থুলো জয় বিষহরি/ কান্দে গঙ্গা, কান্দে বিষহরি রায়/ হর বিষ হর/ নি ঝর ঝর/ গরু হাঙ্গারে বিষ, নি ঝর ঝর।’

দ্বিতীয় ধাপে গানের মত করে দম নিয়ে মন্ত্র পড়তে হয়। ভাবতে হয় মন্ত্রবলে আকাশ থেকে ভগবানের শক্তি এসে চুলে পড়বে এভাবে চুল থেকে বিভিন্ন অঙ্গ হয়ে পায়ের পাতা দিয়ে মাটিকে বিষ নামিয়ে দেবে। টেম্প পাহানের ভাষায়, ‘কেশ থাকি মুর (মাথা), মুর থাকি কাপাল (কপাল), কাপাল থাকি আইত (চোখ), আইত থাকি নাক, নাক থাকি মুখ, মুখ থাকি থুতলি, থুতলি থাকি ঘেচা (গলা), ঘেচা থাকি দাকনা (দুই কাঁধ), দাকনা থাকি ছাতি (বুক), ছাতি থাকি পাজরা, পাজরা থাকি পেট, পেট থাকি নেভি, নেভি থাকি ডান্ডা (কোমর), ডান্ডা থাকি জাং (রান), জাং থাকি ঠ্যাংলা (হাঁটু), ঠ্যাংলা থাকি তুমবা (হাঁটুর নিচের অংশ), তুমবা থাকি সুপলী (পায়ের গোড়ালি), সুপলী থাকি তারোয়া (পায়ের পাতা), তারোয়া থাকি আঙ্গরি (আঙুল), আঙ্গরি থাকি নখ, নখ থাকি মাটি।’

তারপর তিনি চোখ বন্ধ করে মন্ত্রটি বলতে থাকেন- ‘কেশাশে মার মার/ উড়াইলাম বিষ,/ মাথা শে মার মার/ উড়াইলাম বিষ,/ ঝিনঝির কা পাক ফেকে উড়াইব বিষ….’ শেষ ধাপে আরেকটি মন্ত্র পড়ার পরই শরীর থেকে সমস্ত বিষ নেমে গিয়ে রোগী উঠে বসবে। কী সেই মন্ত্র? টেম্প আবার চোখ বন্ধ করে দম নিয়ে পড়তে থাকেন- ‘মাছরাঙা মাছ খায়/ ঝারিয়া ফেলে কাটা,/ এক তাল দুই তাল/ জারে বিষ স্বর্গে পাতালে….’

এরপর প্রসঙ্গ ওঠে মুন্ডা পাহানদের শিকার নিয়ে। এবার কথা ফুটে গ্রাম প্রধান নিমাই পাহানের মুখে। পাহানরা এখনও দলবেঁধে শিকারে বের হয়। তিনদিন আগে তারা সবাই বসে শিকারের পরিকল্পনা করে। নারীদের তখন পানীয় ‘হাঁড়িয়া’ তৈরির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। তাদের ভাষায়, ‘হাঁড়ি রাখন, ধম আসি দিন নিকলো বই’।

দিন শেষে শিকারে যা কিছু মিলে তা থেকে প্রথমে শিকারি ভূতকে দেওয়া মানতের একটি শিকার বলি দেওয়া হয়। তারপর শিকারগুলো গোটা গ্রামের পরিবারগুলোর মধ্যে সমহারে বণ্টন করা হয়। এই সমবণ্টন রীতির কারণেই শত দারিদ্র্যের মাঝেও যুগ যুগ ধরে টিকে আছে আদিবাসীরা। ওই রাতে চলে হাড়িয়া খাওয়া ও ঝুমুর নাচ।

গোদাবাড়ির আশপাশের গ্রামের আদিবাসীরা অনেকেই আজ ধর্মান্তরিত হয়েছেন। পূর্বপুরুষদের জাত-ধর্ম টিকে না থাকলেও তারা পেয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তি, চিকিৎসা সেবা ও সন্তানের লেখাপড়ার নিশ্চয়তা। অথচ গোদাবাড়ির মুন্ডা পাহানদের জীবন কাটছে নানা দুঃখ, কষ্ট আর অভাবের মাঝে। তবুও কেন ধর্মান্তরিত হচ্ছেন না? এমন প্রশ্নে সবার চোখেমুখে যেন বিস্ফোরণ ঘটে। কষ্টগুলো লুকিয়ে রেখে দৃঢ়কণ্ঠে আদিবাসীরা বলে- ‘জাতি কেনে ধ্বংস করব, যেটায় আছি ওইটায় রহবে।’

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কিডজে, প্রকাশকাল: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪

© 2024, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button