আদিবাসী

ধর্মীয় উৎসবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী

সোহরাই উৎসব

এ দেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে নানা ধরনের উৎসব ও পূজা-পার্বণ। যার বেশির ভাগই আবর্তিত হয় সনাতন ধর্মবিশ্বাস ঘিরে। উৎসবগুলোতে তারা পশু বলি, উপোস থাকা, পূজাসহ নানা আচার পালন করে। মূলত সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং মনোবাসনা পূরণের নানা ইচ্ছা নিয়েই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ পালন করে আসছে তাদের ধর্মীয় সব উৎসব।
প্রথমেই দিনাজপুরের ভুনজার জাতিগোষ্ঠীর মনসা পূজার কথা বলছি। এটিই তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রতি ভাদ্রের চাঁদের পূর্ণিমাতে তারা পালন করে এ উৎসব। মনসা ভুনজারদের প্রাণের দেবী। তাদের ভাষায় ‘বিষহরি’। তাদের বিশ্বাস, বিষহরির শক্তিতেই তারা সাপে কাটা ব্যক্তিকে মন্ত্র দিয়ে ভালো করতে পারে। তাই তাদের কাছে মনসা ‘জিন্দা দেবতা’। দেবীর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা বিশেষ নিয়ম মেনে এ পূজা পালন করে।
মনসা বা বিষহরি পূজা তিন দিনের। প্রথম দিন গোত্রের সবাইকে উপোস থাকতে হয়। ওই দিন সবাই একত্রিত হয়ে পূজার মাধ্যমে বিষহরিকে জানায় মনের নানা ইচ্ছার কথা। দ্বিতীয় দিন তারা দেবীর সন্তুষ্টির জন্য হাঁস বলি দেয়। সারা বছর ভুনজাররা যে কয়টি সাপে কাটা রোগীকে ভালো করে, সেই কয়জনকে এ পূজার সময় এক বা একাধিক হাঁস দান করতে হয়। এরপর হাঁসগুলোকে একে একে বলি দেওয়া হয়। এ সময় ভুনজাররা ভক্তির সঙ্গে বিষহরির উদ্দেশে গান গায়- ‘মন দুঃখ্যে কান্দে, পদ্মা নিধুয়া বলে…’। এরপর বলি দেওয়া হাঁসগুলো দিয়ে গ্রামপ্রধানের বাড়িতে রান্না হয় খিচুড়ি। রাতভর চলে ‘ঝুমটা নাচ’ আর প্রিয় পানীয় হাঁড়িয়া খাওয়া। তৃতীয় দিন পরম ভক্তির সঙ্গে তারা নিকটস্থ নদী বা খালে বিসর্জন দেয় বিষহরিকে। একইভাবে তুরি জনগোষ্ঠীর লোকেরাও এ উৎসবটি পালন করে থাকে।

    মনসা বা বিষহরি পূজা
মনসা বা বিষহরি পূজা

ওঁরাওদের ওপর মনসার প্রভাব একেবারেই নেই। তারা গবাদিপশুর কল্যাণে ‘সাহরাই’ উৎসবটি পালন করে ধুমধামের সঙ্গে। প্রতি আশ্বিনের চাঁদের অমাবস্যার পরের দিন চলে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। উৎসবটি তিন দিনের। প্রথম দিন তারা ঘরে, উঠানে, জমিতে এবং গোবর ফেলার জায়গাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রদীপ জ্বালায়। দ্বিতীয় দিন গরু, মহিষ, ছাগল প্রভৃতিকে স্নান করিয়ে তেল ও সিঁদুর মাখানো হয়। লাঙল, জোয়ালসহ চাষাবাদের সব যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে মাখানো হয় সিঁদুরের রং। তৃতীয় দিন মূল পূজাটির আগেই তারা গোয়াল মাটি দিয়ে লেপে পরিষ্কার করে। শালবন থেকে উলুর ডিবির মাটি এনে তিন ভাগে উঁচু করে দেয় মেঝেতে। একই সঙ্গে সেখানে সিঁদুর, বেলপাতা, কলাপাতা, দূর্বাঘাস, আতপ চাল, জবা ফুল দিয়ে এবং ধূপ জ্বালিয়ে মুরগি বলি দিয়ে পূজা করে ওঁরাওরা। পূজা শেষে প্রথমেই গরু-ছাগলকে খাওয়ানো হয়। এরপর বাড়ির সবাইকে গোয়ালে বসেই সেরে নিতে হয় খাওয়াদাওয়া। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানো হয় গোয়ালসহ বাড়ির বিভিন্ন স্থানে। সাহরাই উৎসবের রাতে ওঁরাও গ্রামগুলো থাকে আলোকোজ্জ্বল।
হাজংদের বিশ্বাস, বাস্তুদেবতা তাদের বসত এবং গ্রামকে প্রাকৃতিক অমঙ্গলের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই হাজংদের প্রতিটি গ্রামেই বাস্তুদেবতার মন্দির থাকে। পৌষসংক্রান্তিতে তারা বাস্তুপূজা করে থাকে। পূজার দিন তারা বাড়িঘর পরিষ্কার করে নতুন জামাকাপড় পরে। পুরোহিতরা বিশেষ আচারের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। এ পূজায় পাঁঠা ও কবুতর বলি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম হলো সাঁওতালরা। তাদের সর্ববৃহৎ ও শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘সোহরাই’। মূলত সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আনন্দের উৎসব এটি। পৌষ-মাঘ মাসে এটি পালিত হয়। উৎসবটি সাত দিনের। প্রথম দিনের প্রধান আয়োজনটিকে সাঁওতালি ভাষায় বলে ‘উম’। এদিন প্রতি ঘর থেকে একটি করে মুরগি বা কবুতর সংগ্রহ করে পূজার জন্য সবাই একটি মাঠে জড়ো হয়। এরপর মহতের উপস্থিতিতে মুরগি বা কবুতরগুলোকে এঁকে এঁকে বলি দেওয়া হয়। পরে তা দিয়ে মহতের বাড়িতে সবার জন্য রান্না হয় খিচুড়ি। সারা রাত চলে হাঁড়িয়া খাওয়া। সাঁওতাল গ্রামে এভাবেই সোহরাই উৎসবের শুভ সূচনা হয়। দ্বিতীয় দিনটিকে তারা বলে ‘ডাকা’। ওই দিন গোত্রের প্রতিটি পরিবার তাদের কাছে আত্মীয় ও জামাইদের দাওয়াত করে। তৃতীয় দিন চলে হাস্যরস ও আনন্দ। এটিকে ‘খুনটাও’ বলে। ওই দিন গোলাকার দাগের ভেতর রাখা হয় একটি ষাঁড়। তার শিং ও গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তেলের পিঠা। সাঁওতাল যুবকরা হুড়োহুড়ি করে সে পিঠা ছিনিয়ে নেয়। এভাবে অন্য রকম এক আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম। খেলা শেষে ছেলেরা বাড়ি ফিরলে সাঁওতাল মেয়েরা তাদের পা ধুয়ে ঘরে তোলে। সোহরাই উৎসবের চতুর্থ দিন সবাই দলবেঁধে বেরিয়ে পড়ে মাছ বা কাঁকড়া ধরতে। সাঁওতালরা এ পর্বকে বলে ‘হাকু কাটকোম’। এ ছাড়া ষষ্ঠ দিনের ‘সেন্দ্ররা’ পর্বটি মূলত শিকারকেন্দ্রিক। ওই দিন একদল সাঁওতাল তীর-ধনুক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে শিকারে। শিকার শেষে তারা অংশ নেয় কলাগাছে তীর বিদ্ধ করার খেলায়। এরপর শিকারগুলো দিয়ে রান্না হয় খিচুড়ি। সারা রাত চলে নাচ, গান আর হাঁড়িয়ার আসর। সপ্তম দিন সবাই সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাছ-মাংস আর হাঁড়িয়া খায়। চলে নাচ-গান আর আনন্দ-আড্ডা। এ উৎসবে সাঁওতালি মেয়েরা মনের আনন্দে গান গায়- ‘বাহারেদ সহরায় রেদ/নেওতাঞ মেসে মারাং দাদা/ইঞদ দাদা একা বুহিন গে…।’

অন্যদিকে বাংলাদেশে টিকে থাকা কড়া জাতিগোষ্ঠীর বড় উৎসব ‘কারমা পূজা’। তারা ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার চাঁদে এ পূজা পালন করে থাকে। মূলত এটি একটি গাছের পূজা। বিরল প্রজাতির ‘খিল কদম’ গাছের ডাল কেটে এনে পূজা করে কড়ারা।
অভাবমুক্তি আর সৌভাগ্য লাভের আশায় এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
কারমা পূজায় গোত্রের মাহাতো আগে থেকেই অবিবাহিত কোনো যুবককে কয়েক বছরের জন্য ডাল কাটা ও বিসর্জনের জন্য মনোনীত করে দেন। ডাল কাটার দিন নদীতে স্নান করে গাছের গোড়ায় ধূপ জ্বালিয়ে, সিঁদুর দিয়ে, তিনটি তেলের পিঠা গাছের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর তিন কোপে কাটা হয় একটি ডাল। ডালটি মাটিতে পড়ার আগেই সেটি ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়া হয় পূজাস্থলে। সেখানে গোত্রের সবাই ঢাকঢোল বাজিয়ে ডালটিকে মাটিতে গেড়ে দেয়। একই সঙ্গে দুটি লাল মুরগা (মোরগ) বলি দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় কারমা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। সারা রাত চলে নাচ, গান আর হাঁড়িয়া খাওয়া।
ভোরবেলা দলের মাহাতো স্নান সেরে ভেজা শরীরেই প্রথমে এক বাটি দুধ ঢেলে দেয় খিল কদম গাছের ডালের মাথায়। মাহাতোর পর পরই অন্যরা একে একে দুধ ঢালতে থাকে। এরপর যে যুবকটি ডাল কেটেছিল, সে প্রথমে ডালটির চারদিকে তিন পাক ঘুরে ডালটিকে কাঁধে তুলে ঢাকঢোলের তালে তালে সেটিকে বিসর্জন দেয় নিকটবর্তী নদী বা পুকুরে।
এ ছাড়াও কারমা পূজায় কড়াদের ধর্মের পরীক্ষা দিতে হয়। বাঁশের ডালার মধ্যে কলাই বীজ রেখে বালু ও মাটি দিয়ে যেদিন ঢেকে দেওয়া হয়, সেদিন থেকেই শুরু হয় উপোস (উপাস)। উপোস সময়ে রসুন, পেঁয়াজ, গরম ভাত, মাছ ও মাংস খাওয়ার নিয়ম নেই। খেতে হয় শুধুই নিরামিষ। যে কয়জন উপোস থাকে, সে কয়টি ছোট কাঠি ডালায় পুঁতে দেওয়া হয়। কড়াদের রীতি অনুসারে উপোসকারী পুরুষ হলে কাঠির মাথায় কাজল আর মহিলা হলে সিঁদুর লাগানো হয়। চার দিন পর ডালায় নতুন চারা গজালে তারা উপোস ভাঙে। কড়াদের বিশ্বাস, যাদের ধর্মে বিশ্বাস নেই, ডালায় তাদের লাগানো কলাই বীজ থেকে চারা গজায় না। আচারগত কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও ওঁরাও, মুণ্ডা, তুরি ও মাহালিরাও এ উৎসবটি পালন করে থাকে।উত্তরবঙ্গের মুসহরদের সবচেয়ে বড় উৎসব ছটপূজা। এ পূজা হয় আশ্বিন-কার্তিক মাসে ডালা বা চিতিয়া পূজার পরপরই। এ পূজায় তিন দিন আগ থেকেই পবিত্রতার সঙ্গে থাকতে হয় উপোস। উপোস অবস্থায় দুধ-কলা ছাড়াও খাওয়া যায় বিনা লবণে আতপ চালের ভাত। মুসহরদের কাছে এটি ‘ক্ষীর’। প্রথানুসারে এ পূজায় নিকটস্থ নদী বা পুকুরে সূর্য ডোবার আগে পূজা দিতে হয়। ঠিক তার পরদিনই সকালে সুর্য ওঠার আগে আবার নদীর মধ্যে কোমর পানিতে নেমে সূর্যকে ভোগ দিয়ে প্রার্থনা করে তারা। তাদের বিশ্বাস, এ পূজায় সূর্য ও গঙ্গার আশীর্বাদ একই সঙ্গে পাওয়া যায়।
সিলেটের মাত্র তিনটি উপজেলায় বাস করে ‘পাত্র’ জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা। শূকর শিকার করাকে তারা বলে ‘ফাক খুং’। এটি তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। তারা বিশ্বাস করে, ঝগড়াবিবাদ, মনোমালিন্য থাকলে ফাক খুং শিকার হয় না। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকে আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি এবং আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর আগে তাদের ‘রাইজেঞা’ অনুষ্ঠানটি পালন করতে হয়। এই অনুষ্ঠানে খড়, হাঁড়িয়া, এক জোড়া হাঁস বা কবুতর প্রয়োজন হয়। হাঁস বা কবুতর তারা ফাক খুং লারাম বা শাহীর (শূকরের দেবতা) নামে উৎসর্গ করে। শিকারের সফলতা ও মঙ্গল কামনাই এর উদ্দেশ্য। এ ছাড়া পাঞ্চালীরা (দিকনির্দেশক) শিকারের আগের রাতে একটি গজার মাছ, রান্না করা ভাত, একটা লাল বা কালো মোরগ উৎসর্গ করে। শিকারে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পেতেই এই আচার। প্রথমে পাঞ্চালী ও পরে অন্যরা শিকারে বের হয়। শিকারে তারা ব্যবহার করে তাদের ঐতিহ্যবাহী হাতিয়ার চিড়, একহাতি ও যাথা শুলকী। পাঞ্চালীর দায়িত্ব হলো শিকার যেদিকে যাবে, সেদিকের অবস্থান জানানো। তারা শিকার মেরে কিছু মাংস কেটে কলাপাতায় বা ডালায় রেখে দেয় এবং বাকি মাংস প্রবীণ ও গ্রামের সবার মধ্যে বণ্টন করা হয়। তাদের বিশ্বাস, নিজেদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ, মনোমালিন্য থাকলে শিকার ধরা পড়ে না। বরং উল্টো শিকারিকেই নানা বিপদের মধ্যে পড়তে হয়। এ উৎসবের মাধ্যমে পাত্রদের মধ্যে একতাবোধ বৃদ্ধি পায়।
বৌদ্ধধর্মের অনুসারী চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা ও রাখাইনরা প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে পরবর্তী পূর্ণিমার দিনের মধ্যে কঠিন চীবরদান উৎসবের আয়োজন করে। তারা মনে করে, দানের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দান হচ্ছে কঠিন চীবরদান। এ উৎসবে মহিলারা তাঁত স্থাপন করে রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত পুরোহিতের জন্য চীবর তৈরি করে তা দান করে থাকে।

ধর্মকেন্দ্রিক উৎসবগুলো ঘিরেই টিকে থাকে একটি জাতির আচার, নাচ, গান ও বিশ্বাসগুলো। যা সমৃদ্ধ করে তার সংস্কৃতিকে। অভাব, বৈষম্যসহ নানা কারণে এ দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ আজ সংখ্যালঘু। সংখ্যাগুরুদের প্রভাবে লুপ্ত হচ্ছে তারা এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি। ফলে নিঃশব্দে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের হাজার বছরের উৎসব ও আচারগুলো।

লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক কালেরকন্ঠের শিলালিপি’তে, ১১ অক্টোবর ২০১৩

WARNING :
If anyone wants to share this content, please contact me. If any unauthorised use or reproduction of salekkhokon.me content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

© 2013 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button