আদিবাসী

আদিবাসী ধাঁধার আসরে

অগ্রহায়ণ মাস। মাঠে মাঠে পাকা ধান। তা দেখে কৃষকের গোমড়া মুখেও হাসি। কিন্তু ফসল তো ঘরে তোলা চাই। তাই জমিওয়ালারা ‘পাইট’ খুঁজতে ধর্ণা দিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামগুলোতে।
এ অঞ্চলে ফসল কাটার মজুরকে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘পাইট’। পাইট হিসেবে আদিবাসীদের রয়েছে বেশ খ্যাতি। সততা, পরিশ্রম আর মালিকের প্রতি অগাধ ভালোবাসাই তাদের পুঁজি। তাই স্বল্পসময়ে ফসল ঘরে তুলতে ‘আদিবাসী পাইট’-এর কোনো বিকল্প নেই।

নানা ভাষাভাষী আদিবাসীদের বাস দিনাজপুরে। ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক—এই তিন মাস এরা কোনো কাজ পায় না। ফলে উপার্জন থাকে বন্ধ। অভাবের এ সময়টাতে আদিবাসীরা স্থানীয় মহাজন ও জমিওয়ালাদের কাছে আগাম শ্রম বিক্রি করে পরিবার চালায়। ফসল কাটার সময়ে শ্রম দিয়ে প্রথমে মহাজনদের ঋণ পরিশোধ করতে হয় এদের। অতঃপর মেলে বাড়তি কাজের সুযোগ।

তাই অগ্রহায়ণ এলেই এ অঞ্চলের আদিবাসীদের মনে আনন্দের দোলা লাগে। এসময় প্রায় প্রতি রাতেই আদিবাসী পাড়াগুলোতে চলে নাচ-গান। প্রিয় পানীয় হাড়িয়া খেয়ে এরা গল্প, ধাঁধা আর নানা কাহিনির আসর জমায়।

হালজায় গ্রামে আজ বসবে ‘ভান্তার’ আসর। মুঠোফোনে খবরটি জানালেন গ্রামপ্রধান বা মাহাতো জগেন কড়া। নিমন্ত্রণও করলেন। ধাঁধাকে কড়া আদিবাসীরা বলে ‘ভান্তা’। এ আদিবাসী জাতিটি এ দেশ থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন। টিকে আছে মাত্র ১৯টি পরিবার। হালজায়ই এ দেশে কড়াদের একমাত্র গ্রাম। সীমান্তবর্তী ওই আদিবাসী গ্রামটিতে আমরা যখন পৌঁছাই, তখন মধ্য বিকেল।

ধাঁধা লোকসাহিত্যের প্রচীন এক শাখা। ‘ধন্দ’ শব্দ থেকে ধাঁধা শব্দটির উত্পত্তি; যার অর্থ দাঁড়ায় সংশয় বা দুরূহ সমস্যা। এটি মূলত একটি জিজ্ঞাসা। মূল বিষয়কে আড়াল করে শব্দের জাল বুনে তা করা হয়ে থাকে। ফলে উত্তরদাতাকে চিন্তা করে বা মাথা ঘামিয়ে উত্তর দিতে হয়। অঞ্চলভেদে ধাঁধার বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন :রংপুরে ধাঁধাকে বলে ‘ছিলকা’, ময়মনসিংহে ঠল্লুক বা কথা, সিলেটে পঁই বা শিমাসা, উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রামে দস্তান প্রভৃতি।
বাংলা লোকসাহিত্যের মতো অজস্র ছড়া, ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন ও মন্ত্র আদিবাসী সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ। এখনো বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা বিয়ে অনুষ্ঠানে, কৃষিকাজে, মৃতদেহ সত্কারে, মন্ত্রাচারে ও ধর্মে-কর্মে ধাঁধার অনুশীলন করেন। মধ্যপ্রদেশের গঁড় আদিবাসীরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ধাঁধাচর্চা করে। বাংলা ও আসামের নাগা, কুকি, গারো, কোচ, মুরং, রাজবংশী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর লোকেরা ফসল পাকলে ও কাটার সময় ধাঁধা বলে আনন্দ উপভোগ করে।

সূর্যটা কখন মুখ লুকিয়েছে টেরই পাইনি! চারপাশে তখন অন্ধকার। ঝিঁঝিপোকা ক্লান্তিহীন ডেকে চলছে। জগেনের বাড়ির উঠোনে মাদুর বিছানো মেঝেতে আমাদের জায়গা হয়। আশপাশের গ্রামের আদিবাসীরাও একে একে আসতে থাকে ওই আনন্দ আসরে। কুপির আলোতে স্পষ্ট হয় আদিবাসী মুখগুলো। চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে বয়োজ্যেষ্ঠ মুখে। ভাঁজের পরতে পরতে যেন ইতিহাস লুকানো।

জগেন কড়াই আসরটি শুরু করেন। সবার উদ্দেশে তিনি একটি ‘ভান্তা’ ছুড়ে দেন। কড়া ভাষায় ধাঁধাটি :ঘার হতো দুয়ার নাকলো’; যার ভাবার্থ হলো—ঘর আছে দুয়ার নাই। উত্তরে তুরি গোত্রের লবানু ‘ডিমা’ (অর্থ : ডিম) বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। বিজয়ের আনন্দে তুরিদের মধ্যে হই হই রব ওঠে। একপাশ থেকে সেড়তি কড়া বললেন, ‘দাশটা মারত রাগদেলকে, দুটা মারত পাকারকে মারকে’। এর উত্তর বলতে পারলেন না কেউ। কেউ না পারায় সেড়তির মুখে বিজয়ীর হাসি ফুটে উঠল। হাসতে হাসতেই উত্তর দিলেন তিনি :’ঢিলা বাছা’। মানে উকুন। অর্থাত্ দুই হাতের দশ আঙুল থাকলেও উকুন মারা হয় দুই আঙুল দিয়ে।

স্থানীয় এক এনজিওতে কাজ করেন গারো নারী সুমনা চিসিম ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের সুবোল। নিমন্ত্রণ পেয়ে তাঁরাও এসেছেন ধাঁধার আসরে। সেড়তির পর মুখ খোলেন সুমনা। সবার উদ্দেশে তিনি একটি ধাঁধা ছুড়ে দেন। প্রথমে গারো ভাষায়, পরে বাংলায় বুঝিয়ে দেন ধাঁধাটি। ‘খাসিন খাসিন মাললেংআ/ মান্দি জাগাম মাননেআ/ দগা চুপপে খাটিংআ’ অর্থাত্ হামাগুড়ি দিয়ে ধীরে চলে/ মানুষের পায়ের শব্দ পেলে/ দরজা বন্ধ করে লুকায় সে। ধাঁধা শুনে আমরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করি। কেউ কেউ মগজ কচলান। তবুও উত্তর মেলে না। মুচকি হেসে সুমনাই বলেন উত্তরটি। এটি হচ্ছে ‘শামুক’। এবার তিনি বলেন চাকমা সমাজে প্রচলিত একটি ধাঁধা—বিলের বক বিলে চরে, বিল শুকালে বক মরে। মুচকি হেসে সুবোল উত্তর দেন। এটি হচ্ছে বাত্তি বা কূপি। সবাই হাততালি দিয়ে তাঁকে উত্সাহিত করেন। সুমনা আসরে বলেন আরেকটি ধাঁধা—কাঁচা থাকলে নরম, পাকলে সিন্দুঁর, যে বলতে না পারে, তার গোষ্ঠীসুদ্ধ ইন্দুর। এবার সবাই চুপচাপ। কেউ না পারায় সবাইকে ইঁন্দুর ভেবে হাসতে হাসতে সুমনা বলেন উত্তরটি। এটি হচ্ছে ‘মাটির পাতিল।’পাশের গ্রামের তুরি গোত্রের প্রধান লবানু শিং। মাদল হাতে একপাশে বসে তিনি ধাঁধা শুনছিলেন। মাঝেমধ্যে টুং টাং ছন্দ তুলছেন মাদলে। হঠাত্ যেন প্রাণ পেয়ে যান। দরদি কণ্ঠে ধরেন বিষহরির গান, ‘সাইয়া পাড়া লোক দুর্গা/ মোর বাজে গাইয়ো গো/ সাদ গুরু বান্দা মাইগে/ জয়া বিষহরি…।’ নিপেন টিগ্গা এসেছেন বহবলদিঘি থেকে। ওঁরাও গোত্রের প্রধান বা মহত তিনি। লবানুর গান শুনে তিনি খানিক নড়েচড়ে বসেন। অতঃপর আসরে ছুঁড়ে দেন একটি ধাঁধা—হাত হায়তো গড় নেখে/ খেঁচা হায়তো মুড়া নেখে/ আবেদিনকে আগে দানে পালে, গিলকে খাত্রলা। যার ভাবার্থ :হাত আছে গলা নাই। শরীর আছে মাথা নাই। সামনে যদি মানুষ পায়, অমনি ধরে গিলে খায়। নিপেনের ধাঁধায় সবাই নিশ্চুপ। কেউ কেউ মাথা কচলাচ্ছেন। তবুও যেন উত্তর বের হচ্ছে না। আগত ওঁরাওদের মুখে বিজয়ের হাসি। মুচকি হেসে নিপেন ধাঁধার উত্তরে বলেন, ‘জামা’। নিপেন থামতেই সুবোল রাজবংশী ধাঁধা বলেন। সবার উদ্দেশে তিনি ছুঁড়ে দেন একটি ধাঁধা—কাটলে বাঁচে, না কাটলে মরে। সেড়তি কড়া এবার লাফিয়ে উঠে বলেন—নবজাতকের নাভি। সুবোল বলেন আরেকটি, ‘যোগী নয়, সন্ন্যাসী নয়, মাথায় হুতাশন/ ছেলে নয়, পিলে নয় ডাকে ঘন ঘন।/ চোর নয়,ডাকাত নয়, বর্শা মারে বুকে/ কন্যা নয়, পুত্র নয় চুমো খায় মুখে।’ এবার তুরি সম্প্রদায়ের লবানু শিং উত্তরে চেচিয়ে বলেন—হুক্কা। সুবোল রাগে আরেকটি শক্ত ধাঁধা ছুঁড়ে দেন লবানুর দিকে—হাতির দাঁত ময়ূরে পাখ, এই শোলক না ভাঙতে পারলি গাধার জাত। লবানু এবারও বিজয়ী হয়। উত্তরে বলে, এটি হচ্ছে ‘মূলা’। চারপাশে করতালি আর হই হই রব ওঠে। সুবোল বলেন আরেকটি ধাঁধা, ‘এক কুড়ি বারো ভাই, একই ঘরে থাকে/ সকল ভাইয়ের এক নাম, একই নামে ডাকে’। এবার লবানু নীরব হয়ে যান। লবানুকে হারিয়ে সুবোল হেসে হেসে জানালেন ধাঁধার উত্তরটি। এটি হচ্ছে ‘দাঁত’।

রাত বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে জমে ওঠে ধাঁধার আসর। মাঝেমধ্যেই চুয়ানি আর হাঁড়িয়া খেয়ে চাঙা হয়ে নিচ্ছেন সবাই। সাঁওতাল গোত্রের বাঠু সরেনের মুখে এবার ধাঁধা ফোটে, ‘সিংহো রাপারাপা/ নু্উমি রাপারাপা/ আসুন্ধি লেইমে কুদুম কুড়ি।’ যার ভাবার্থ :দিনে পাখা খোলা, রাতেও পাখা খোলা। সবাই একেবারে চুপচাপ। পাশ থেকে নিপেন টিগ্গা বলে ওঠে ‘বাকাডুলি’। বিজয়ের আনন্দে সবাই হই-হুল্লোড় করতে থাকে। আমরা এর অর্থ বুঝে উঠতে পারলাম না। পাশে বসা এক আদিবাসী বললেন, এর অর্থ ‘ফড়িং’। কড়া সম্প্রদায়ের সুনিয়া কড়া আয়েস করে চুয়ানি খাচ্ছেন। খেতে খেতে তিনি বলেন কড়াদের একটি ধাঁধা, ‘তয় রাহামে খালমে/ হাম রাহাবো ডালমে/ এক সাঙ্গে দেখা হতো মরণ কালমে।’ সুনিয়ার ধাঁধা শুনে সবাই মুচকি হাসেন। কিন্তু উত্তর নেই কারও কাছে। হাসতে হাসতে তিনি বলেন এর অর্থ:মাছের তরকারি অর্থাত্ মাছ আর মরিচের দেখা হয় রান্নার সময়। এবার তিনি বললেন আরেকটি ধাঁধা—ভুরুত পাংখি, একজন ডুবেলকে দুজন সাক্ষী। সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন লবানু শিং। এটি হচ্ছে সেচ দেওয়ার জন্য টিনজাতীয় বালতি বিশেষের দু’দিকে দড়ি বেঁধে দুজন টেনে ধরা অর্থাত্ সেচ দেওয়া। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি ধাঁধা বলেন সেড়তি—কাঁটা উপার কাংনা/ ঝলেক রাহে আংনা। এর ভাবার্থ :কাঁটার ওপর আগুন জ্বলে, চারদিক আলোকিত করে। এবারে শঙ্কর টিগ্গা উত্তরে বলেন ‘দিয়া’। অর্থ প্রদীপ।

কড়া আদিবাসীরা এসেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড থেকে। অন্য আদিবাসীদের মতো এদের জীবন আর সংস্কৃতির সঙ্গেও মিশে আছে মহাজন, পুলিশ আর দারোগাদের অত্যাচারের স্মৃতি। কড়াদের অনেক গান ও লোককথায় প্রকাশ পায় সেই সময়কার বঞ্চনাগুলো। ধাঁধার বিরতিতে তেমনি একটি গান ধরেন সুনিয়া কড়া। কড়া ভাষায় গানটি, ‘শুন এলু বোট সে/ ঘুরি এলু কোট সে/ চাল ধেনি জাল দি সাপার/ দারগা পুলিশ সবশে উপার/ চাল ধেনি জাল দি সাপার/ বাংলাদেশ মে নাখলো বিচার/ চাল ধেনি জাল দি সাপার।’ জগেন জানায় গানটির ভাবার্থ :জমিদারের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে তা মিলল না, বিচার মিলল না কোর্টে গিয়েও, এ দেশে সবার ওপরে দারোগা-পুলিশ। তাই ছোট বাচ্চাদের বলা হচ্ছে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে, এ দেশে থাকা যাবে না। এ দেশে বিচার নেই।

গান শেষে ওঁরাও গোত্রের নিপেন বলেন আরেকটি ধাঁধা, ‘সাননি বা আকি কিচড়ি কুড়ি/ কোহা পারদি হোলে লাংটা মানি।’ এর ভাবার্থ :ছোটকালে কাপড় পরে, বড় হলে নেংটা ধরে। নিপেন এবার হেরে যান। বাঠু সরেন বিজয়ী মুখে উত্তর দেন; এটি হচ্ছে ‘বাঁশ’। নিপেন কিছুটা রাগান্বিত। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছুঁড়ে দেন আরেকটি ধাঁধা—অন্টে খুঁটা আটটা চাল। এর ভাবার্থ—একটি খুঁটি আটটি চাল। সবাই এবার চুপ। হাসতে হাসতে নিপেন উত্তরে বলেন, ‘ছাতা’। কড়া গোত্রের জগেন কড়া বলেন আরেকটি ধাঁধা, ‘রামার বেটি/ খোলে পেটি/ বিনা কদারে খুঁড়েলকি মাটি।’ হাত উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন তুরি সম্প্রদায়ের লবানুর ভাই সবানু শিং। এর অর্থ হলো :শূকরের মুখ দিয়ে মাটি খোঁড়া। শঙ্কর টিগ্গা বসে ছিলেন কিছুটা গোমড়া মুখে। ওঁরাও গোত্রের এক সময়কার মহত বা গোত্রপ্রধান ছিলেন তিনি। বয়সের ভারে শরীর যেন নুয়ে পড়েছে তাঁর। কাশি দিয়ে গলাটা ঠিক করে নিলেন তিনি। অতঃপর সবার উদ্দেশে ছুঁড়ে দেন একটি ওঁরাও ধাঁধা—শুইলে কা আলি/ খাইলে বারয়ি। এর ভাবার্থ : সোজা যায়, সোজা আসে। এবার ধাঁধার উত্তর দেন তুরি গোত্রের খিরোবালা। হাসিমুখে বলেন, এটি হচ্ছে ‘খাননে’ অর্থাত্ চোখ।

ধাঁধার পরে ধাঁধা চলে। নিস্তব্ধ রাতে ছন্দ ওঠে ঢোল-মাদলে। রাতের আনন্দ ভুলিয়ে দেয় দিনের দুঃখগুলোকে। নাচ-গান আর ধাঁধার আনন্দে ভেসে যায় আদিবাসীদের চিরচেনা দুঃখগুলো। আর এভাবেই আদিবাসীদের জীবন কাটে এক একটি নতুন দিনের স্বপ্নময় ভোরের আশায়।

লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক ইত্তেফাকে, ২৮ জুন ২০১৩

WARNING :
If anyone wants to share this content, please contact me. If any unauthorised use or reproduction of salekkhokon.me content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

© 2013 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button