আদিবাসী

আদিবাসীদের সুবিধা লাভের খেলা

ছেলেটিকে এর আগেও দেখেছি বারকয়েক। কিন্তু কখনও কথা হয়নি। তাই জানা হয়নি নামটিও। বিভিন্ন সময়ে আদিবাসীদের নানা অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার দেখেছি তাকে। মাঝে মাঝে সে ইউএনওর কার্যালয়ে চলে আসে। কখনও দলবেঁধে। কখনও একাই। হাতে ঝুলানো থাকে শুধু একটি ব্যাগ। ব্যাগের মধ্যে অভিযোগের লিখিত কাগজ। দলিল নকল করে আদিবাসীদের জায়গা দখল। কিংবা জমির খারিজে পরিমাণ বাড়িয়ে আদিবাসীদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগই বেশি।
ছেলেটির নাম সুশীল কর্মকার। কর্মকার গোত্রের একমাত্র শিক্ষিত যুবক সে। পড়াশুনায় এইচএসসি পাস। গ্রামের বাড়ি বৈদ্যনাথপুরের কর্মকার পাড়ায়।
পূর্বপুরুষরা লোহার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সুশীল বেছে নিয়েছে কৃষিকাজ। নিজের জমিজমা যৎসামান্য। চাষাবাদ করে যা পায় তা দিয়েই চালিয়ে নেয় সংসার। নিজের পাশাপাশি আদিবাসীদের অধিকার আর সম্মান নিয়েও ভাবে সে। তাই আদিবাসীদের যে কোনো আয়োজনেই যুক্ত থাকে সুশীল।
মধ্য দুপুর। বিমল মার্ডিসহ বিরল উপজেলায় আমরা অপেক্ষা করছি সুশীলের জন্য। আমাদের গন্তব্য বাদুনিয়া গ্রাম। দেখব সেখানকার মুসহর সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। তেমনটাই পরিকল্পনা। বিমল উপজেলার আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি। জাতিতে সাঁওতাল। এদের পূর্বপুরুষরা ছিল সনাতন ধর্মরীতির অনুসারী। কিন্তু বিমলরা এখন আর সে রীতিতে বিশ্বাসী নয়। সাঁওতালি সনাতন ধর্ম বিশ্বাস ত্যাগ করে তারা হয়েছে খ্রিষ্টান। আদিবাসী সমিতির কারণেই সুশীলের সঙ্গে ভাব হয় বিমলের। সে সুবাদে সুশীল পায় সমিতির সম্পাদকের পদ।
সাইকেলে প্যাডেল মেরে হাজির হয় সুশীল। তার শরীর ঘামে ভেজা। এসেছে দিনাজপুর শহর থেকে। সে জানাল এসেছে একটি প্রতিবাদ মিছিল সেড়ে। কিসের প্রতিবাদ। জানতে চাইলে বিমল বলে আদিবাসীদের কখনও উপজাতি, কখনও ক্ষুদ্র নৃত্তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ডাকা হচ্ছে। একজনকে যদি একেক সময়ে একেক নামে ডাকা হয় তাহলে কেমন লাগবে তার। সরকার চায় না আদিবাসী বলতে। পাছে বাঙালিরা পিছনের অধিবাসী হয়ে যায়।

মুসহর বাড়ির তুলসি ঠাকুর
মুসহর বাড়ির তুলসি ঠাকুর

এ প্রতিবাদেই মিছিল হয় সারাদেশে। পার্বত্য অঞ্চলের মতো দিনাজপুরের আদিবাসীরাও প্রতিবাদ মিছিল বের করে। কণ্ঠ আকাশে তুলে জানিয়ে দেয় তারা শুধুই আদিবাসী।
এ নিয়ে সুশীল বেশ উত্তেজিত। পশ্চিমা ভাষায় সে বিড়বিড় করে বলে,
‘হামরিন নিরি গোষ্ঠী, আদিবাসী এগুলাহর মধ্যে হামরিন আদিবাসী হেকিয়ে। সরকার আদিবাসী, উপজাতি যে নামেই হোক হামরিন আদি যুগেকের আদিবাসী হেকিয়ে।’
এর ভাবার্থ : সরকার আমাদের আদিবাসী, নিরিগোষ্ঠী, উপজাতি যে নামেই ডাকুক আমরা আদি যুগের আদিবাসী নামেই থাকব। একজন বাঙালি হিসেবে সুশীলের কথায় আমি খানিকটা লজ্জিত হই।
একটি বিষয় জানা ছিল না। সুশীলের জন্য অপেক্ষার ফাঁকে বিমল জানাল বিষয়টির আদ্যোপান্ত। পার্বত্য এলাকা ব্যতীত বিশেষ এলাকার উন্নয়নের উন্নয়ন সহায়তা নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি প্রকল্প চালু আছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী এলাকাগুলোতে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের জন্য প্রতি বছরই কাজ করা হয়। আদিবাসীদের আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ছাড়াও প্রকল্পের টাকায় পাড়ায় পাড়ায় বসানো হয় ল্যাট্রিন আর টিউবওয়েল। শুধু তাই নয়, আদিবাসী শিশুদের লেখাপাড়ায় উৎসাহ জোগাতে প্রতি বছর দেয়া হয় শিক্ষা উপকরণ, বৃত্তি, শিক্ষা সহায়তা।
সরকারি নিয়মে আদিবাসীদের রেজিস্ট্রাট সমিতির মাধ্যমেই কাজগুলো করা হয়। সরকার মনে করে এতে সঠিকভাবে সরকারি সেবা পৌঁছাবে আদিবাসীদের ঘরে। বিমল জানাল প্রায় দশ বছর ধরে আদিবাসীদের ভাগ্যোন্নয়নের এই কাজটি করে আসছে তাদের সমিতি। এ বছরও দেয়া হবে নানা সুবিধা। সে কারণেই যেতে হবে বাদুনিয়া গ্রামে। সুশীল আসতেই আমরা রওনা হই।
মোটরসাইকেলে প্রায় ৩০ মিনিটের পথ চলা। ধুকুরজারি থেকে ডেরাপেটিয়া বাজার হয়ে ডানের রাস্তায় বাদুনিয়া গ্রামের পথ। দুপাশে ঘন ভুট্টাক্ষেত। পেরোলেই মেলে মুসহর গ্রামটি। বাঁশঝাড়ের ফাঁকে ফাঁকে মাটি আর ছনের ২৫টির মতো বাড়ি। বাড়িগুলো অধিকাংশই ভাঙাচোরা। ঝড়ের কারণে উড়ে গেছে বেশ কয়েকটি বাড়ির ছনগুলো। কয়েকজন ব্যস্ত ছনগুলো ঢেকে দেয়ায়।

প্রিয় পানীয় হাড়িয়া তৈরিতে ব্যস্ত মুসহর পাড়ার হেমা ঋষি
প্রিয় পানীয় হাড়িয়া তৈরিতে ব্যস্ত মুসহর পাড়ার হেমা ঋষি

একটি বাড়ির পাশে বসা এক বৃদ্ধ। বয়স আশির মতো। মুসহর গ্রামের মহত বা দলপ্রধান সে। নাম জানাল লেদমা ঋষি। ঋষি মুসহরদের টাইটেল। তাই ঋষি বসে যায় সবার নামের শেষে।

মহতকে নিয়ে আমরা ঘুরে দেখি গ্রামটি। মুসহর ছাড়া এই গ্রামে আছে ভুনজারদের দুটো পরিবারও। দুটি মাটির ঘরের ছোট্ট বাড়িতে আমাদের পা পড়ে। দূর থেকে আমাদের দেখে হেমা ঋষি। সে প্রায় দৌড়ে বেরিয়ে আসে রান্নাঘর থেকে।
হেমা খানিকটা যেন ভীত। চুলায় বড় বড় তিনটি হাঁড়ি বিশেষ কায়দায় বসানো। উনুনে আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে। আমরা ঠিক বুঝতে পারি না। কি রান্না হচ্ছে। মহত জানাল এ বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে আসবে অতিথি। তাই হাঁড়িয়া তৈরি হচ্ছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো মুসহরদের প্রিয় পানীয়ও হাঁড়িয়া। এটি তাদের সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাছে হাঁড়িয়া রান্না করলে অপরাধ হয়। সে কারণেই হেমা আমাদের দেখে খানিকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়েছে।
একটি বাড়ির উঠানে বসে ভুট্টা ভাঙছে এক বৃদ্ধা। বয়স সত্তরের মতো। ঘাড়ের এক কোন থেকে হাত পর্যন্ত কালো নকশা আঁকা। মহত জানাল এটি তাদের জাতি চিহ্ন। মুসহরদের রীতি অনুসারে ছোটবেলা থেকেই বিশেষ কায়দায় এই নকশা এঁকে দেয়া হয়। কি করছেন? তাকে প্রশ্ন করতেই মুচকি হেসে উত্তর ‘মাগাই বাচি’। মুসহর ভাষায় ভুট্টাকে বলা হয় মাগাই। বৃদ্ধার নামটিও বেশ। ফুলমতিয়া ঋষি।
বাদুনিয়া গ্রামে মুসহরদের প্রায় প্রতিটি বাড়ির এক কোণে যতœ করে লাগানো হয়েছে তুলসি গাছ। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো এরাও প্রদীপ জ্বালিয়ে তুলসি ঠাকুরকে ভক্তি দেয় সকাল-সন্ধ্যা।
মুসহরদের বড় পূজা বিশহরি। এদের মধ্যে যে সাপ নামানোর মন্ত্র জানে তার জন্য এ পূজা বাধ্যতামূলক। মহত লেদমা ঋষি জানাল বর্তমানে মানুষের ভয়ে সাপ প্রায় হারিয়ে গেছে। অথচ এক সময় লেদমা নিজেই ছিলেন ভালো ওঝা। সে সময় বিষ নামাতে সাত গ্রাম থেকে ডাক আসত তার।
কিভাবে বিষ নামাতেন। লেদমা বলতে থাকে। যে জায়গায় সাপে কাটে প্রথমে গিয়েই সেখানে ঘষে দিতে হয় চেরা মাটি অর্থাৎ কেঁচোতোলা মাটি। সঙ্গে নেয়া হয় বাঁশের পাত আর নিমের ডাল। অতঃপর হাত দিলেই বোঝা যায় কোথায় বিষ রয়েছে। মন্ত্র পড়ে, স্পর্শ করে, বিষের জায়গা শনাক্ত করে, দুই দিক বেঁধে দিয়ে পড়া হয় আরো মন্ত্র । কি সেই মন্ত্র। লেদমার ভাষায় মন্ত্রটি : ‘সোনার পাটিতে বসলেন দেবী/ দমলো কমলো পরিহার/ গুরু গুরু ডাক দেয় নাহি সাঁতার/ একো দাড়ে বিষ/ নামরে বিষ/ পাতালে চলে যা/ মর রে বিষ/ শিরসেদ গুরু পনে পাঁচশ গুরু দোহাই।’
অতঃপর আকাশের দিকে তাকিয়ে ভগবানের সাহায্যের জন্য গান ধরা হয়। মুসহরদের বিশ্বাস এতে বিষ আকাশ থেকে চুলে, চুল থেকে মাথায়, মাথা থেকে কপালে, কপাল থেকে নামতে নামতে পায়ের পাতা দিয়ে বেরিয়ে যায়। ভাগবান কৃপা করেন বলেই বিষ নেমে যায়। গানটি ধরে লেদমার : ‘আকাশে মাররে গুরু/ শোনার গিদনিয়া/ পাতালে মাররে গুরু/ শোনরে গিদনিয়া…’।
মুসহরদের গোটা গ্রামে এর আগে মেলেনি কোনো সরকারি সুবিধা। আদিবাসী সমিতিরও নেক দৃষ্টি ছিল না গ্রামটির দিকে। ফলে পর্যাপ্ত টিউবওয়েল আর ল্যাট্রিন বসেনি গ্রামটিতে। যে কয়েকটি আছে তাও স্থানীয় এনজিওদের কৃপায়।
বিমলরা এর আগে আসেনি এ গ্রামে। এ গ্রামের কোনো মুসহরকে তাদের সমিতির সদস্যও করা হয়নি। ফলে মিলেনি কোনো সরকারি সুবিধা। বিমল ও সুশীল জানাল সদস্য সংগ্রহ করে এবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নানা সুবিধা তারা পৌঁছে দেবে মুসহর গ্রামে।
মহতের কাছে বিদায় নিয়ে আমরা ফিরতি পথ ধরি। ফেরার পথে সুশীলের সঙ্গে কথা হয় তাদের সমিতি নিয়ে। আদিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী সাঁওতালরা। এরা অন্যদের তুলনায় অধিক সচেতন। বিশেষ করে ধর্মান্তরিত সাঁওতালরা। এরা শিক্ষিত হওয়ায় সরকারি সুবিধা আর নেতৃত্বের জায়গাগুলো রেখেছে নিজেদের দখলে। ফলে পিছিয়েপড়া আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকখানি।
উপজেলার প্রায় সব সাঁওতাল পাড়াই আদিবাসী কল্যাণ সমিতির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সবচেয়ে পিছিয়েপড়া কড়া সম্প্রদায়ের কোনো আদিবাসীর নাম নেই কল্যাণ সমিতির তালিকায়। তাছাড়া সদস্য হতে পারেনি ভুনজার, তুরি, ওঁরাও, মুসহর, মুন্ডাদের সকল পাড়ার আদিবাসীরা।
সুশীল জানাল তাদের কল্যাণ সমিতিতে আদিবাসী সদস্য প্রায় তিনশ’র মতো। এর মধ্যে সুশীলদের কর্মকার সম্প্রদায়ের আদিবাসী ১০ জন, তুরি ৭ জন, মুসহর ১৫ জন, ভুনজার ১৫ জন, ওঁরাও ১০ জন, পাহান ৫ জন আর বাকি প্রায় দু’শতাধিক সাঁওতাল। এই সাঁওতাল সদস্যদের মধ্যে আবার ধর্মান্তরিত সাঁওতালদের সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া সমিতির নয় সদস্য কমিটির মধ্যে সুশীল ছাড়া বাকি সবাই সাঁওতাল সম্প্রদায়ের। ফলে প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধার অধিকাংশই ভোগ করে সাঁওতাল পাড়ার আদিবাসীরা। এভাবে আদিবাসীদের দ্বারাই আদিবাসীরা এক ধরনের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। ফলে আরো পিছিয়ে পড়ছে কড়াসহ হতদরিদ্র সম্প্রদায়গুলো। যারা দরিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকিয়ে রেখেছে নিজ জাতির সংস্কৃতিকে। আর একদল আদিবাসী যারা বিক্রি করে দিয়েছে পূর্বপুরুষের জাত আর সংস্কৃতিটাকে। তারাই লেবাস বদলিয়ে বার বার সুবিধা নিয়ে টিকিয়ে রাখছে নিজেদের।

লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে সাপ্তাহিকে ২৬ মে ২০১১

© 2011 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button