আদিবাসী

দলদলিয়ার গোড়াতদের জীবনকথা

আদিবাসী জীবনকথা

সকাল থেকেই আকাশটা অন্য রকম। এই বৃষ্টি তো এই রোদ। আকাশে অজস্র মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ দমকা হাওয়া। হাওয়ার ঝাপটায় দূরে চলে যায় মেঘগুলো। মেঘের সঙ্গে বৃষ্টিটাও। মেঘ-বৃষ্টির এমন দৃশ্য দেখার উপযুক্ত স্থান হয়তো বরেন্দ্র এলাকাই।

রাজশাহী থেকে আমরা ছুটে চলি গোদাগাড়ীর দিকে। কাকনহাটের পথ ধরতেই দৃষ্টি পড়ে সবুজের দিকে। বরেন্দ্র অঞ্চলের আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু পথ। স্তরে স্তরে সাজানো সবুজ ধানখেতগুলো। একটি ধানখেতের ওপাশে দেখি তালগাছের মাথা। বেশ দূরে থাকায় আবছা দেখায় তা। উঁচুতে ধানখেত তো নিচুতে তালগাছ। মনে হচ্ছিল বড় কোনো বোলের মধ্যে সেজেছে প্রকৃতি। ওপর থেকে দেখতে তা অন্য রকম লাগে। যেন শিল্পীর পটে আঁকা ছবি।
প্রকৃতির মাঝে দেখা মেলে প্রাকৃতজনদের। লাঙল কাঁধে একদল আদিবাসী ফিরছে মাঠ থেকে। সুঠাম তাদের দেহ। দু-একজনের গড়নে বিপ্লবীর প্রতিচ্ছবি। দলদলিয়া গ্রামটি কোথায়? প্রশ্ন করতেই এক আদিবাসী দেখিয়ে দিল পূর্বমুখো একটি রাস্তা।

দুপুরের ঠিক পরে পৌঁছি দলদলিয়ায়। একটি পাড়ায় এসে থেমে যায় আমাদের মোটরসাইকেলটি। পাড়াটির বুক চিরে পাকা রাস্তাটি চলে গেছে শমনি পাড়ার দিকে। রাস্তার দুই পাশে লাল মাটির ছনে ছাওয়া ঘর। স্থানীয় এক বৃদ্ধা জানালেন এটিই গোড়াতপাড়া। গোড়াতদের প্রায় ৪৫টি আদিবাসী পরিবারের বাস এখানটায়। এ আদিবাসীদের পূর্বপুরুষরা এসেছে ভারতের নাগপুর চুটিয়াপাড়া থেকে। সেটিও ব্রিটিশ আমলের কথা। দলদলিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী শেরেপাড়া ও মারাইলে রয়েছে এদের আরও কয়েকটি গ্রাম।

একটি বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই দেখি অন্য কাণ্ড। বাড়ির উঠানে মধ্যবয়সী এক নারী বসা। কপালে তার ভরাট সিঁদুর। হাতে শাখা ও খাড়ু। তার সামনে বসেছেন এক বৃদ্ধা। নাম জানতে চাইলে উত্তর দেন নারীটি। নাম বললেন, বিশ্বমিত্রা রাণী। বিশ্বমিত্রা উকুন বিনোদনে ব্যস্ত। উকুন আনছেন তারই শাশুড়ি অমলা রাণীর। অমলার বয়স সত্তরের অধিক। চুলের স্পর্শে আরাম অনুভব করেন। তাই অমলার চোখ বন্ধ। কী করছেন? আবার প্রশ্ন করি। বিশ্বমিত্রা বলেন, বাবু, ঢিলা বাছি।

এ আদিবাসী নারীদের নামের শেষে টাইটেল হিসেবে ‘রাণী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। বিশ্বমিত্র জানালেন, যাদের বিয়ে হয়নি, তাদের নামের শেষে টাইটেল হিসেবে বসে ‘বালা’ শব্দটি। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে তারা নামের শেষে শুধুই ‘সরদার’ শব্দটি ব্যবহার করে। আর এ কারণেই স্থানীয় অনেকেই গোড়াত আদিবাসীদের চিনে নেয় সরদার হিসেবে।

আমাদের গলার শব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন গৃহকর্তা অধির সরদার। আলাপ হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, গোড়াত আদিবাসীদের গ্রাম পরিষদের কথা। অন্য আদিবাসীদের মতো তারাও গ্রাম পরিষদ গঠন করেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, সবার সম্মতিতে। তাদের একটি গ্রামে একজন মোড়ল ও পাঁচটি গ্রামের জন্য একজন পরধান থাকে। এ ছাড়া গ্রাম পরিষদে রয়েছে চকিদার ও মোহরী পদ। অধির জানালেন, দলদলিয়া গ্রামের মোড়লের নাম কার্তিক সরদার, চকিদার রবি সরদার ও মোহরী হলেন রঙ্গুন সরদার। দলদলিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের পরধানের নাম বিগন সরদার।

কার কী কাজ? অধির এমন প্রশ্নের উত্তর দেন নিজ ভাষায়, পরধান উপমাকারী, মোড়ল বিচারকারী, মোহরী উপমা কি বিচার তরজমাকারী আর চকিদার হাকাকারী। গোড়ত আদিবাসীদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা আনুষ্ঠানিকতা ও কাজে প্রয়োজন হয় মোড়লের।
এ আদিবাসীরা কথা বলেন নাগরী ভাষায়। তবে আশপাশে বাংলা ভাষার আধিক্যে তারা হারিয়ে ফেলছে তাদের মায়ের সে ভাষাটিকে। তারা শুধু বাড়িতেই কথা বলেন নিজের ভাষায়। গোড়াতদের ভাষার কোনো লিখিত রূপ নেই। এ ভাষা পুরোপুরি মৌখিক।

অধিরের সঙ্গে আমরা ঘুরে দেখি আদিবাসী পাড়াটি। পাড়ার পথটি বেশ এবড়োখেবড়ো। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সুনজর পড়েনি এখানে। পথে দেখা হয় যুবক বয়সী স্বপন সরদারের সঙ্গে। তিনি কথা বলছিলেন উচ্চকণ্ঠে। হেলেধুলে। বাচনভঙ্গি খানিকটা অস্বাভাবিক। অধির জানালেন, এ পাড়ায় গত রাতে বসেছিল আনন্দ আড্ডা। নাচগানের সঙ্গে চলেছে হাড়িয়া খাওয়া। হাড়িয়ার নেশা তখনো কাটেনি স্বপনের। তাই বন্ধ থাকে তার কাজে যাওয়া। হাড়িয়া খাওয়া আদিবাসীদের সংস্কৃতিরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বপন সরদার বলেন, বাবু, হাড়ি না হলে আমাদের চলে না। মরলেও আমাদের হাড়ি খাতি হয় আবার জীবিত থাকলে হাড়ি খাতি হয়।

আমরা চলে আসি পাড়ার ভেতরটায়। চালা দেওয়া চারকোনা একটি জায়গা। মধ্যখানে মাটি দিয়ে তিন স্তরে তৈরি করা হয়েছে উঁচু ডিবি। ডিবির চারপাশ পরিষ্কার ও পরিপাটি। গোটা জায়গাটি গোবরে লেপা। ডিবির ওপরে যত্ন করে লাগানো হয়েছে ছোট্ট একটি তুলসীগাছ। অধির জানালেন এটি তাদের গ্রাম পূজার স্থান।

গোড়াত আদিবাসীরা কোনো মূর্তিপূজা করে না। স্বতন্ত্র আদিবাসী রীতিতে তারা পালন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। কোন কোন পূজা হয় এখানে? উত্তরে অধির বলেন, হামি দোসরা পূজা, করম পূজা, লক্ষ্মীপূজা।

পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই তারা কৃষি পেশায় যুক্ত। একসময় তাদের নিজেদের জমি ছিল। দিন দিন তা হারিয়ে আজ অধিকাংশই ভূমিহীন। আশ্বিন-কার্তিক মাস এ অঞ্চলের আদিবাসীদের কাছে অভাবের সময়। তখন অনেক গোড়াতই ভ্যান চালানো কাজে নিজেকে যুক্ত করে। অভাবের এ সময়টাতেই তাদের করম পূজা পালন করতে হয়। গোড়াতদের বিশ্বাস, করম পূজা করলে তাদের সৌভাগ্য লাভের পথ সুগম হয়।

হঠাৎ ঢোল-মাদলের শব্দ। একটি বাড়ির উঠানে চলছে ঝুমুর নাচের আসর। দল বেঁধে নারী-পুরুষ নাচছে এক উদাসী ঢঙে। মাদলের ছন্দে সেখানে জড় হয়েছে গোটা পাড়ার আদিবাসীরা। সেখানে আলাপ হয় রুহানী রাণীর সঙ্গে।

রুহানীর বয়স ৬০ বছর। এক দিন আগেই তার মেয়ের বিয়ের পাকা কথা হয়েছে। সে আনন্দেই চলছে নাচগান। গোড়াতদের বিয়ে নিয়ে তিনি বললেন নানা কথা। বাঙালি মেয়েদের যেখানে বিয়ে হয় যৌতুকের বিনিময়ে, সেখানে এ আদিবাসী মেয়েদের বিয়েতে বরকে পণ হিসেবে দিতে হয় ২৫ টাকা। তাদের বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত হয় মেয়ের বাড়িতে, দুই মোড়লের উপস্থিতিতে। ওই দিন অতিথিদের আপ্যায়নের সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াতে হয় হাড়িয়া। অন্যথায় বরপক্ষ কথা পাকা করে না।

আদিবাসী নিয়মে বিয়েবাড়িতে যাওয়ার আগে বর ও কনেকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পানিকাটা পর্ব সম্পন্ন করতে হয়। এ পর্বে সন্ধ্যার পর দুটি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের বিশ্বাস, যদি প্রদীপ দুটি একসঙ্গে চলতে থাকে তবে বর-কনের সম্পর্কটা ভালো হবে। আর যদি দুই দিকে সরে যায়, তবে ধরে নেওয়া হয় তাদের সংসারে মন-কষাকষি হবে। ছেলের বোন ও মাসিরা এবং কনের মাসি, পিসিরা এ পানিকাটা পর্বটি করে থাকে।

বিয়ের দিন বর প্রথমে কনের বাড়ির বাইরে অপেক্ষায় থাকে। দূর্বাঘাস, আলো চাল, ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে বরণ করা হয়। অতঃপর বরকে কোলে তুলে নিয়ে আসে কনের বোনাইরা।
অন্য আদিবাসীদের মতো গোড়াতরাও বাড়ির উঠানে চারটি কলাগাছ ও রঙিন কাগজ দিয়ে বিয়ের মাড়ওয়া তৈরি করে। সেখানে বসেই বর কনেকে সিঁদুর পরায়। অতঃপর কনেকে বরের সঙ্গে মারওয়ার চারপাশে সাতপাক দিতে হয়। বিয়ে শেষে মাড়ওয়ায় বসিয়ে বর-কনেকে ক্ষীর খাওয়ানো হয়। আত্মীয়স্বজনেরা তখন একে একে সঙ্গে আনা উপহারগুলো তুলে দেয় কনের হাতে। সবশেষে বরের মোড়লের হাতে কনেকে তুলে দেয় কনেপক্ষের মোড়ল। তখন শুরু হয় আনন্দ নৃত্য। ঝুমুর নাচ আর হাড়িয়ায় ডুবে থাকে দুই পক্ষের আদিবাসীরা।

গোড়াত আদিবাসী মেয়েদের বিয়ের সময় পরিয়ে দেওয়া হয় সিঁদুর, খাড়ু ও শাখা। রুহানীর ভাষায়, ‘যখন স্বামী মরগেলা তখন শাখা, সিন্দুর, খাড়ু আজীবন ধোয়াই গেল।’ অর্থাৎ স্বামী মারা গেলে আজীবনের জন্য সিঁদুর, খাড়ু ও শাখা খুলে ফেলতে হয়। এ আদিবাসী মেয়েরা বাবা-মায়ের কোনো সম্পত্তির ভাগ পান না।

রুহানীকে সঙ্গে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকি। বাড়ির সামনে বাঁশের খাঁচার মতো কিছু একটা নিয়ে এগোচ্ছে কয়েকজন শিশু। বয়স দশের মতো। কী এটা, প্রশ্ন করতেই বলল, মাছ ধরার কুমনি। যে বয়সে এ শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা, সে বয়সে তারা জীবিকার প্রয়োজনে ছুটছে মাছ ধরতে।

বাড়ির ভেতরটায় করুণ দশা। একাংশ ভেঙে পড়েছে। রান্নাঘরটিও উন্মুক্ত। দিন দুয়েক আগে ঝড়ে বাড়ির এমন হাল হয়েছে বলে জানালেন গৃহকর্ত্রী বাসন্তী রাণী। টাকার অভাবে ঘর মেরামতও সম্ভব হয়নি। বাড়ির ভেতর নেই কোনো ল্যাট্রিন। জীর্ণ-শীর্ণ পরিবেশ গোটা বাড়িতে। আমাদের দৃষ্টি আটকায় উঠানের এক কোণে। নিজেদের ঘর মেরামত না হলেও পলিথিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে প্রার্থনার স্থানটিকে। পরিবারের কল্যাণের জন্য প্রতি সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সেখানেই প্রার্থনা করেন বাসন্তি।

গোড়াত আদিবাসীরা নবজাতক জন্মানোর পরপরই মুখে মধু দেয়। সাত দিনের দিন পাড়ার সবাইকে শুদ্ধি করায় নাপিত এসে। নবজাতকের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা হয় সবাইকে। ওই দিনই তার নাম রাখা হয়।তারা মৃতদেহকে আদিবাসী রীতিতে মাটি চাপা দিয়ে থাকেন। সেখানে মৃতকে সাদা কাপড়ে ঢেকে, আগর বাতি জ্বালিয়ে মরার মুখে আগুন দেওয়ার রীতি পালন করে তারা। সমাধিস্থত করার ১২ দিন পর চলে এদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান। গোড়াত গোত্রের সবাই মৃত পরিবারকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

দলদলিয়ার গোড়াতপাড়ার আদিবাসীরা পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই মৃতদের মাটিচাপা দিত আদমমারা গোরস্তানে। আজ সেটিও স্থানীয় বাঙালিদের দখলে। ফলে এখন এ আদিবাসীদের সমাধিস্থত করা নিয়ে চলছে নানা প্রতিবন্ধকতা। বাসন্তীর ভাষায়, ‘হামরা সমস্যা হামার বাবা-মা মইর গেলে মাটি দেয়ার জায়গা নাই।’

পাশ থেকে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধির সরদার। তিনি বলেন, জীবিত থাকতে আমাদের ওপর চলে নানা অবহেলা আর অত্যাচার। নিজেদের জমি চলে যায় অন্যের দখলে। নিজ দেশে আমরা আছি পরবাসী হিসেবে। তিনি আরও বলেন, পূর্বপুরুষদের সমাধিগুলোও আজ আমরা রক্ষা করতে পারিনি। নিজেরা মরলেও মাটি দেওয়ার জায়গা নেই। এর চেয়ে কষ্টের আর কী আছে।

গোড়াত আদিবাসী জাতির নামটি স্থান পায়নি সরকারের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তালিকায়। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বারবার দাবি তুললেও এ জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ নানা বৈষম্য ও অবহেলা মাথায় নিয়ে এ দেশে টিকে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে গোড়াতরা। আর এভাবেই সরলপ্রাণ এ আদিবাসীদের এক একটি কষ্ট হারিয়ে যায় নতুন কষ্টের মাঝে।

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ প্রকাশে, প্রকাশকাল: ১৭ আগস্ট ২০২৩

© 2024, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button