কলাম

মানবিক আচরণই রক্ষা করতে পারে মানুষকে

কোনো ব্যক্তি চিহ্নিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেই তাকে বা তার পরিবারকে দুর্বিসহ কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ঢাকা শহরে অনেক বাড়িওয়ালাই তার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। আশপাশের মানুষও সদয় থাকছেন না আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার পরিবারের প্রতি। তাদের বাড়ি বা এলাকা থেকে বের করে দিতে পারলেই যেন করোনাভাইরাস থেকে সবার মুক্তি ঘটবে।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তাই আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা যেন স্বউদ্যোগে তা প্রকাশ করতে পারে–সে সামাজিক পরিবেশটাও নিশ্চিত করতে হবে, সকলে মিলেই।

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া একজন হিন্দু ব্যবসায়ীর মুখাগ্নি করেছেন এক মুসলিম কাউন্সিলর। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। মানবিক এই ঘটনার পেছনে রয়েছে এক বা একাধিক অমানবিক ঘটনাও। যা আমাদের বিবেককে প্রবলভাবে নাড়া দেয়।

কী ঘটেছিল সেখানে?

গণমাধ্যমের সংবাদ বলছে, ওই ব্যবসায়ী ও তার ছয় বন্ধুর মধ্যে সখ্যতা ছিল খুব। প্রিয় বন্ধুরা সবাই একত্রে থাকবেন। তাই সাতজনে মিলেই তৈরি করে নিয়েছেন সাত তলা একটি ভবন। ওই ভবনেরই চতুর্থ তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।

কিন্তু কয়েকদিন আগে ওই ব্যবসায়ীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ার পর থেকেই বদলে যেতে থাকে চিরচেনা সম্পর্কগুলো। তার বা পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় না সেই বন্ধুরা। নিজেকে বাঁচানোর অসীম চিন্তা আশাপাশের মানুষকেও প্রবল স্বার্থপর ও অমানবিক করে তোলে।

কিন্তু তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে হাল ছাড়েন না। চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে তারা হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনতলার সিঁড়ি পর্যন্ত নিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। মৃত্যুর আগে একটু পানি খেতে চেয়েছিলেন তিনি। পানিটুকু নিয়েও এগিয়ে আসেনি কেউ। এখানেই শেষ নয়, করোনাভাইরাসের ভয়ে তার লাশ কয়েক ঘন্টা পড়ে থাকে বন্ধুত্বে গড়া সাত তলা বাড়ির সিঁড়িতেই।

খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার। তার নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী ওই ব্যবসায়ীর শেষকৃত্য করার প্রস্তুতি নেন কেন্দ্রীয় শ্মশানে। সেখানেও উপস্থিত হননি মৃতের আত্মীয়স্বজনরা কেউ। ফলে স্ত্রীর অনুমতিতে সরকারি পুরোহিতের সহায়তায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন ওই কাউন্সিলর।

একজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রতি তার বন্ধু ও আশাপাশের মানুষের বিবেকহীন আচরণ আমাদের ব্যথিত করলেও কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার ও তার ১২ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবী দলের মানবিকতা আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ও শক্তি জোগায়।

ওই স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা অধিকাংশই একজন আরেকজনের পরিচিত ছিলেন না। করোনাভাইরাস দুর্যোগই তাদের এক করে দেয়। এদের কেউ কাঠমিস্ত্রি, কেউ গার্মেন্টস কর্মী আবার কেউ শিক্ষার্থী। জীবনের ঝুঁকি জেনেও তারা মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান মানবিকতার টানে। কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৩৪টি মরদেহ দাফন ও সৎকার করেছে এ দলটি। যার মধ্যে ছয়জন ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। যাদের পরিবারের কেউ না আসায় ওই কাউন্সিলর নিজেই তিন জনের মুখাগ্নি করেছেন। বাকিরা ছিলেন সবাই মুসলিম। যাদেরও কেউ আসেনি আপনজনের দাফন সম্পন্ন করতে।

আতঙ্ক নয় সচেতনতাই করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির একমাত্র পথ। এমনটাই প্রচার চালাচ্ছে সরকার। তবুও মানুষের ভেতর আতঙ্ক যেন কমছেই না। করোনাভাইরাস শনাক্ত হলেই ওই ব্যক্তি বা তার পরিবারের প্রতি নির্দয় আচরণ করছেন আশপাশের মানুষ। আক্রান্তকারীর মৃত্যু হলে পরিবারটি হয়ে পড়ে আরও অসহায়। তাদের সাহায্যে কেউ এগিয়েও আসে না। যে মানুষটি প্রিয়জনদের বিপদে নানাভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মানুষটিই কারোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সকলেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। তার পরিবার নিদারুণ এক কষ্টের মুখে পড়ে তখন।

যারা এই আচরণগুলো করছেন তারা কি নিশ্চিত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না? করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে যদি বেঁচেও যান মনের ভেতরের স্বার্থপরতা ও নির্মমতার যে ভাইরাসটির জন্ম হচ্ছে তা থেকে তিনি মুক্ত হবেন কীভাবে?

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও অমানবিকতার ঘটনা ঘটছে অনেক স্থানেই। যখন লিখছি তখন কোয়ারেন্টিনের নামে ঢাকাফেরত এক নারী হাসপাতালকর্মীকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তালপাতায় বানানো একটি ঝুপড়িঘরে রাখার খবর আসে। বিডিনিউজে প্রকাশিত খবর বলছে, ওই নারী ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় হাসাপাতালের কয়েকটি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে গত মঙ্গলবার ওই নারী ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী জড়ো হয়। উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে পুকুরপাড়ে তালপাতা দিয়ে ঝুপড়িঘর তৈরি করে সেখানে থাকতে তাকে বাধ্য করান স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। একজন হাসপাতালকর্মী হিসেবে ওই নারী সেবা দিয়েছেন অগণিত মানুষকে। অথচ শুধু ঢাকাফেরত হাসপাতালকর্মী হওয়ায় তাকেই নিজ গ্রামে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে। তার কাছে এর চেয়ে বেদনার এবং কষ্টের বিষয় আর কী হতে পারে! সংবাদটি প্রকাশের পরপরই স্থানীয় প্রশাসন তাকে তালপাতার ঝুপড়িঘর থেকে উদ্ধার করে।

এরও আগে একটি ঘটনা আমাদের মনে চিন্তার মেঘ জমায়। টাঙ্গাইলের সখিপুরে ঘটেছে ঘটনাটি। ‘মা, তুমি এই বনে এক রাত থাকো। কাল এসে তোমাকে নিয়ে যাব’–এমন কথা বলেই ৫০ বছর বয়সী মাকে শাল-গজারির বনে ফেলে চলে যান তার সন্তানেরা। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে সন্তানেরা এমন ঘৃণিত কাজটি করেন। পরে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা প্রশাসন তাকে বন থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়।

এসব ঘটনার সংবাদ পড়ে আমাদের বুকের ভেতরটা ধুপ করে ওঠে। উন্নত দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তদের যতটা সম্ভব হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করা হয়। এক্ষেত্রে নিজেদের সুরক্ষা বজায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের মানুষও তাকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করে। তার বা পরিবারের মানসিক শক্তি যেন ভেঙে না পড়ে সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হয়। এখানেও সরকার হোম কোয়ারেন্টিনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি চিহ্নিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেই তাকে বা তার পরিবারকে দুর্বিসহ কষ্টের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ঢাকা শহরে অনেক বাড়িওয়ালাই তার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন। আশপাশের মানুষও সদয় থাকছেন না আক্রান্ত ব্যক্তি বা তার পরিবারের প্রতি। তাদের বাড়ি বা এলাকা থেকে বের করে দিতে পারলেই যেন করোনাভাইরাস থেকে সবার মুক্তি ঘটবে। সচেতনতার বালাই নেই। বরং নিজেকে বাঁচাতে হিংস্র হয়ে উঠছি আমরা। মানুষ হয়েও মানুষের প্রতি হচ্ছি নিষ্ঠুর ও অমানবিক।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রতি আমাদের করণীয় বা আচরণ কেমন হবে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন ঠিক এভাবে–‘করোনা রোগী থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই পাড়ায়, গলিতে, ওপরতলায় বা নিচতলায় কিংবা পাশের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে করোনাভাইরাস রোগী থাকলে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব হলো রোগী ও তার পরিবারের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা, তাদের বিপদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এগিয়ে আসা। একইসঙ্গে পাড়ার বা অ্যাপার্টমেন্টের অন্যরা যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’

আবার আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন মেনে চলা জরুরি। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী হিসেবে সবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগীর পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিস বা বাজারের ব্যবস্থা করে দরজার সামনে রেখে আসা। এতে রোগীর পরিবারের কাউকে আর বাইরে যেতে হবে না। ফলে সংক্রমণ হওয়ারও সুযোগ ঘটবে না।

কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি বা পরিবারের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার মানসিকতা যেন তাদের একঘরে করে না ফেলে সেদিকেও বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নিন, আশ্বাস দিন এবং সহযোগিতা করুন। আপনার এই মানবিক আচরণটিই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের মনোবল শতগুণ বাড়িয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাস ছড়ায় না। কিন্তু সংক্রামক ব্যাধি আইন অনুসারে করোনাভাইরাস রোগীর মৃতদেহ বিশেষ নিয়মে সৎকার করতে হয়। যে কেউ দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় বা দাফনে অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু দাফনের মূল কাজটুকু সুরক্ষা মেনেই করতে হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের প্রতি অমানবিক ও নির্মম আচরণের কারণেই এখন অনেকেই ভয়ে আক্রান্তের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি আক্রান্ত এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিকিৎসা করায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেলে কর্মরত ২৭ জন চিকিৎসক, ১৩ জন নার্স ও ৩২ জন স্টাফ। বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে কর্মরতদের আক্রান্তের সংখ্যাও। যখন লিখছি তখন ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আটজন চিকিৎসকসহ মোট ৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে ১৫ জন চিকিৎসক ও ৩৭ জন নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে বাধ্য হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হৃদরোগের সমস্যার কথা বলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে ১০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এখানকার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে থাকে।

এভাবে তথ্য গোপনের চেষ্টা চলতে থাকলে করোনাভাইরাসের সংক্রামণ বাড়বে। ফলে আমাদের বড় রকমের বিপদের মুখে পড়তে হবে। তাই এ বিষয়ে সর্তকতার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতারও বিশেষ প্রয়োজন। এবং তা করতে হবে এখনই।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া কোনো অপরাধ নয়। তাই আক্রান্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা যেন স্বউদ্যোগে তা প্রকাশ করতে পারে–সে সামাজিক পরিবেশটাও নিশ্চিত করতে হবে, সকলে মিলেই। তবে গণমাধ্যমগুলোও এ বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। করোনাভাইরাস রোগী বা তার পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ও মানবিক আচরণ করার বিষয়ে রাষ্ট্রেরও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। কেননা দুর্যোগে মানুষের মানবিক আচরণই রক্ষা করতে পারে মানুষকে।

ছবি : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে, প্রকাশকাল: ৩০ এপ্রিল ২০২০

© 2020, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button