মুক্তিযুদ্ধ

রিকশা চালাই তাই একাত্তরের বন্ধুরাও কথা কয় না

রিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ চালান এক মুক্তিযোদ্ধা। তা-ও প্রায় আটত্রিশ বছর ধরে। জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার সংগ্রামে মহাজনের একটি রিকশাই তার একমাত্র অবলম্বন। নিজ থেকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি দেন না। সহযোদ্ধারা ছাড়া দিনাজপুর শহরের লোকেরা তাঁকে চেনেন রিকশাচালক হিসেবেই। অথচ ১৯৭১ সালে তিনিই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ৭ নং সেক্টরে। ২১ দিনের হায়ার ট্রেনিং নিয়েছিলেন শিলিগুড়ির পানিঘাটায়। কিন্তু তাঁর সেই মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি আজ চাপা পড়ে গেছে রিকশাওয়ালা পরিচয়ের মাঝে।

রিকশাচালক এই মুক্তিযোদ্ধা একজন আদিবাসী। নাম রাবন কিসকু। সম্প্রতি রিকশা চালাতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় তাঁর এক হাত ভেঙে যায়। ফলে পরিবারের উপার্জন থাকে বন্ধ। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার ভাতা দিয়েই অনাহারে অর্ধাহারে চলছে তাঁর পরিবার। খবরটি পাই দিনাজপুরের আরেক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে। ঠিকানাও জানিয়ে দেন তিনি।

দিনাজপুর শহরের পাশেই অবদা মোড়। মোড়ের বাঁ পাশ দিয়ে চলে গেছে শহররক্ষা বাঁধ। সবার কাছে এটি অবদা বাঁধ। উঁচু বাঁধের দুপাশে গড়ে উঠেছে ছোটবড় অসংখ্য বাড়ি। বেশ কিছুদূর এগুতেই খামার ঝাড়বাড়ি, মাহুত পাড়া। এখানেই মুক্তিযোদ্ধা রাবন কিসকুর বসতি।

সন্ধ্যা হয় হয়। বাঁধের এক পাশের রাস্তাটি খাড়া ও ভাঙা। সেটি দিয়ে কোনো রকমে নামতেই মিলে দুরুমের মাটির ঘর। দুপাশে দুটি লাউ গাছ। ঝাঁকড়া হয়ে তা উঠে গেছে চালার উপর। বাড়ির প্রবেশমুখে বাঁশের তৈরি ছোট্ট একটি গেট। সেটি সরিয়ে উঠোনে পা ফেলতেই মোরগ ফুলের অভ্যর্থনা। উঠোনের একপাশে আরও ফুটেছে সন্ধ্যাতারা আর বেলি।

মুক্তিযোদ্ধার এই বাড়িটি স্থানীয় একটি এনজিওর সহযোগিতায় গড়া। জায়গাটি জেলা পরিষদের। তারা বসবাস করছেন অস্থায়ীভাবে। তথ্যগুলো জানালেন মুক্তিযোদ্ধা রাবনের স্ত্রী বারথোল মিয়া টুডু। সংসার চালাতে এক সময় তিনিও কাজ করতেন অন্যের বাড়িতে। কিন্তু বছর খানেক আগে পেটের অপারেশন হওয়ায় সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

রাবন কিসকু বাড়িতে নেই। ভাঙা হাতেই ধান মাড়াইয়ের কাজ করতে গিয়েছেন ফুলবাড়িতে, মহাজনের জমিতে। আমরা তাঁর অপেক্ষায় থাকি। রাতের শুরুতে দেখা মিলে ৬৫ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে। আলাপ চলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পরের জীবনযুদ্ধের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে।

দিনাজপুরে আমার চেয়ে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে জানা নাই, আমার বেলায় তো কিছু হয় না, আমি আদিবাসী বলে?
সপরিবারে রাবন কিসকু

 

লক্ষণ কিসকু ও ছিতা টুডুর সন্তান রাবন কিসকু। ৩ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। বাড়ি ফুলবাড়ি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। ছোটবেলার কথা উঠতেই তিনি বলেন:

‘‘বাপের জমিজমা ছিল না। তাই আমরা গরিব ছিলাম। মা-বাপ মাইনসের বাড়িত কামকাজ করছে। অন্যের জমিত থাকতাম। ছোটবেলায় মা-বাবারে মোহাবির রাইস মিল ও কালির মিলে কাজ করতে দেখছি।’’

রাবনের লেখাপড়ায় হাতেখড়ি বকশিগ্রাম প্রাইমারি স্কুলে। পরে তিনি ভর্তি হন ধানজুড়ি মিশনারি হাই স্কুলে। এখানেই তিনি পড়েছেন ক্লাস এইট পর্যন্ত। বাবা অসুখে পড়লে রাবন লেখাপড়া বন্ধ করে পরিবারের হাল ধরেন।

ছাত্রজীবনের স্মৃতি আজও তাঁকে আন্দোলিত করে। তাঁর ভাষায়:

‘‘আমি ধানজুড়ি মিশনের বোর্ডিংয়ে ছিলাম। বিকেলের দিকে ফুটবল খেলতাম বন্ধু ফাতার মারকুছ, আলফেড্র হাজদা, পিয়ন হাজদা, আগস্টিং হেমব্রমের সঙ্গে। ছুটির দিন ছিল রবিবার। ওইদিন আমরা পিরদও বিলে মাছ মারতে যাইতাম। হাত দিয়াই ধরছি কই, মাগুর, শাটি মাছ। পাশেই ছিল শালবন। শালবনের নতুন ডগা দাতন হিসেবে ব্যবহার করতাম। দাতন ভাঙতে যাইতাম দল বাইন্ধা।’’

বাবার সঙ্গে রাবন কাজ করতেন নবাবগঞ্জের ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়, সুশীল চন্দ্র রায়, গুরুপদ সরকারের জমিতে। তাদের ছিল পঞ্চাশটার মতো গরু। তা দিয়ে হাল দেওয়া হত বিশ-ত্রিশ বিঘা জমিতে। হিসাব ছিল আদি ও অর্ধেক। আদি দিত মাহাজন। পিচনও দিত মাহাজন। দানা উঠলে আগে ভাগ হত।

রাবনের মতে, তখন মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ ছিল। তাঁর ভাষায়:

‘‘মানুষ ছিল অন্য রকম। গরু-বাছুর যদি হারাইয়া যাইত দুই তিন বছর পরও দলবলসহ তা ফিরত পেতাম। মানুষের মধ্যে সততা ছিল। জাতিভেদ ছিল না। আম-কাঁঠাল পাকলে নিয়ম ছিল পেড়ে গাছের নিচে বসেই খান। তাইলে অসুবিধা নাই। আর যদি চলে যান তাইলে আপনি চোর, দুস্কৃতিকারী, খারাপ মানুষ। আদিবাসী, হিন্দু, মুসলমান সব একসাথেই চলত। কোনো অসুবিধা ছিল না।’’

১৯৭১এর এপ্রিলের প্রথম দিককার ঘটনা। আর্মি এসে ফুলবাড়িতে বম্বিং করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। প্রাণ বাঁচাতে সবাই পাড়ি জমায় ভারতে। রাবনরাও তেলাং ক্যাম্প দিয়ে চলে আসেন ভারতের নাকশডাঙ্গায়। ওঠেন দূরসম্পর্কের চাচা লক্ষ্মীরাম মারাণ্ডির বাড়িতে। কিন্তু দেশের জন্য মন পড়ে থাকে রাবনের। বন্ধু বুদরাই হেমব্রম, বরেন্দ্র হেমব্রম, বিসু সরেন, এতোয়া সরেনসহ ১০জন আদিবাসী পরিকল্পনা করেন মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার। নাম লিখান কাটলা ইয়ুথ ক্যাম্পে।

কিন্তু কেন গেলেন মুক্তিযুদ্ধে?

রাবন কিসকুর ভাষায়:

‘‘আয় হরকো কানতাহে কানা। খানসেনা জালা বেহারিকো।’’

[মাতৃভূমি শত্রুর হাতে। মা-বোনদের ইজ্জত লুটে নিচ্ছে ওরা। আমরা তো বসে থাকতে পারি না।]

ট্রেনিং নেন কোথায়?

‘‘ইয়ুথ ক্যাম্পে এক মাস চলে লেফট-রাইট। অতঃপর হায়ার ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের পাঠানো হয় প্রথমে প্রতিরাম এবং পরে রায়গঞ্জ হয়ে শিলিগুড়ির পানিঘাটায়। ওখানে ট্রেনিং হয় ২১ দিন। আমার এফএফ নং- ৪৩০৩। ভারতের শিক রেজিমেন্ট আমাদের এলএমজি, রাইফেল, ৩৬ হ্যান্ড গেনেড প্রভৃতি চালানো শেখায়। ‘

ট্রেনিং শেষে রাবনদের অস্ত্র দেওয়া হয় ভারতের তরঙ্গপুরে। সেখানে থেকে ওদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় জলপাইতলি ক্যাম্পে। ৫ জনের গেরিলা গ্রুপের কমান্ড করতেন তোজাম্মেল হক।

রাবন বলেন:

‘‘আমরা গেরিলা ছিলাম। রাতে অপারেশন করতাম। দিনে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে হাল চাষ করতাম, ধান লাগাতাম। ৭ নং সেক্টরের দেশমা ছিল মুক্ত অঞ্চল। সেখানে থেকে আমরা অপারেশন করি দিনাজপুরের চিন্তাময় ডাকবাংলা, মোহনপুর বেজায় মোড় ও মাজলাহারে। চোখের সামনে সহযোদ্ধার মৃত্যুযন্ত্রণা যেমন দেখেছি তেমনি বাঙ্কার উড়িয়ে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছি শত শত পাকিস্তানি সেনাদের।’’

দিনাজপুরে আমার চেয়ে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে জানা নাই, আমার বেলায় তো কিছু হয় না, আমি আদিবাসী বলে?
দিনাজপুরে আমার চেয়ে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে জানা নাই, আমার বেলায় তো কিছু হয় না, আমি আদিবাসী বলে?

 

 

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। দেশ তখন স্বাধীন। অস্ত্র জমা দিয়ে রাবন কিসকু ফিরে যান নিজ গ্রামে। কিন্তু যুদ্ধবিধস্ত দেশে কোনো কাজ পান না। তখন হালের গরুও ছিল না। মিশনে পাওয়ার টিলার চালানোর কাজ নেন। কিন্তু সেখানেও বেতন মিলে না। ফলে কয়েক বছর পরেই মুক্তিযোদ্ধা রাবন পরিবারসহ চলে আসেন দিনাজপুর শহরে।

ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শিখানোর প্রবল স্বপ্ন তাঁর। তাই খরচ জোগাতে শুরু করেন আরেক কঠিন যুদ্ধ। মহাজন রাকিব হোসেনের রিকশা চালানো শুরু করেন তিনি। প্রথম দিনেই ২০০ টাকা কামাই করেন। এরপর থেকে রিকশা চালিয়েই তিনি চার ছেলেমেয়েকে এসএসসি পাশ করান।

যে দেশের স্বপ্ন দেখে যুদ্ধ করেছিলেন, সে দেশ কি পেয়েছেন?

চোখের কোণে জল জামিয়ে রাবনের উত্তর:

‘‘দেশ তো পেয়েছি। কিন্তু সোনার বাংলা এখনও হয় নাই। আগে যে কষ্ট করতাম এখন তার চেয়ে বেশি করি। অভাব তো ছাড়ে নাই। দেশ উন্নত হয়েছে অনেক। এটা ভালো লাগে। কিন্তু আমার জীবন তো বাবা দেশের মতো হয় নাই।’’

রাবন কিসকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ
রাবন কিসকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ

রিকশা চালাতে গিয়ে একবার দিনাজপুর শহরে থানার এক এসআই রাবনকে মারতে উদ্যত হয়। দুঃখ নিয়ে সেদিনের ঘটনার কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা রাবন:

‘‘রেল বাজারে এসআইয়ের সাথে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে আমাকে মারতে আসে। বলে, ‘আমারে চিনস, আমি থানার এসআই’। বলি, ‘আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা। আপনি উঠেন পয়সা দিতে হবে না।’ সেদিন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। মনে হয়েছিল এই জন্য কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছি!’’

স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে রিকশা চালাতে হয়েছে, আক্ষেপ হয়নি?

দিনাজপুরে আমার চেয়ে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে জানা নাই, আমার বেলায় তো কিছু হয় না, আমি আদিবাসী বলে?

প্রশ্ন শুনে মুক্তিযোদ্ধা রাবন নিরব হয়ে যান। অতঃপর কান্নাজড়ানো কন্ঠে বলেন:

‘‘আক্ষেপ কার কাছে করম? পেট তো চালাইতে হবে। ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, অসুখ-বিসুখে খরচ তো আছে। চুরিটা বাদ দিয়ে কষ্ট করতেছি। ভিক্ষা তো করতে শিখিনি। রিকশা চালাই, তাই একাত্তরের বন্ধুরাও দেখলে কথা কয় না। হয়তো সম্মানহানি হয়। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়া অনেকেই তো টাকা কামায়। নেতাদের পিছনে ঘুরে। আমি তো পারি না। অ্যাকসিডেন্টের পর আগের জেলা কমান্ডারের কাছে সাহায্য চাইতে গেছি। উনি ১০০ টাকা ধরায়া দিল। ওই টাকা দিয়া আমি খামু নাকি ওষুধ নিমু!’’

সরকারি সহযোগিতার কথা উঠতেই রাবন বলেন:

‘‘সবাই তো জানে আমি রিকশা চালাই। একবার ডিসি সাহেবের সাথে দেখা করতে গেছি। পরিচয় দিলেও তার গার্ড ঢুকতে দেয় নাই। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় আমার মুছে গেছে। এখন আমি রিকশাওয়ালা। শুনছি দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি করে দিচ্ছে সরকার। দিনাজপুরে আমার চেয়ে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে জানা নাই। কই, আমার বেলায় তো কিছু হয় না! কেন, আমি আদিবাসী বলে? একবার বড়দিনে পাইছি ২ কেজি চাল আর প্রতি শীতে দেয় একটা কইরা কম্বল। এই টুকুই।’’

দেশ নিয়ে কথা উঠতেই এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন:

‘‘চলতেছে তো সুন্দর। আওয়ামী লীগ সরকারকে তো সবাই ভালোবাসে। ১৬ ডিসেম্বর আর ২৬ মার্চ আসলেই সব কষ্টের কথা ভুলে যাই। সহযোদ্ধাদের সাথে দেখা হয়। না খেলেও মনে আনন্দ লাগে।’’

মুক্তিযোদ্ধা রাবন কিসকু এখন চলছেন ভাতার উপর। আট হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান তিন মাস পর পর। দৈনন্দিন প্রায় প্রতিটি জিনিস দোকান থেকে বাকিতে নিয়ে চলেন। ফলে দোকানিরা জিনিসপত্রের রেট নেয় বেশি। তিন মাস পর যা পান তার অধিকাংশই বাকির খাতার হিসাব মিলাতে হয়। তবুও এই ভাতা না হলে পথে বসতে হত এই মুক্তিযোদ্ধাকে। কথায় কথায় তিনি সরকারের কাছে ভাতা বৃদ্ধি ও তা প্রতি মাসে দেওয়ার আবেদন জানান।

মুক্তিযোদ্ধা রাবনের দুই মেয়ে এখন ঢাকায়। ওরা কাজ করছেন সাভারের গার্মেন্টসে। মাস শেষে যা পান ঘরভাড়া দিয়ে তার কিছুই থাকে না। দুই মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে অনেক দিন। কিন্তু খরচের অভাবে সেটিও বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। মেয়েদের বিয়ের জন্য টাকার দরকার। তাই ভাঙা হাত নিয়েই রাবন ছুটছেন কাজের খোঁজে। নিজের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে কী করবেন মুক্তিযোদ্ধা রাবন? বললেন:

‘‘বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে আমি অনেক গরিব। কষ্টে আছি। কিন্তু ক্ষোভ নেই। সরকার কত জনকে কত কিছু করে দেয়। যদি একটা অটোরিক্সা বা সিএসজি বা পাওয়ার টিলারের ব্যবস্থা হত! সেইটা চালাইয়াই হয়তো পরিবারটা চলত। তা না হইলে শরীর যত দিন আছে কিছু না কিছু তো করতে পারবই।’’

স্বাধীনতার পর চুয়াল্লিশ বছর কেটে গেছে। স্বল্প আয়ের থেকে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হবার পথে পা ফেলেছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল সরকারের হাত ধরে দেশ আজ উন্নত হচ্ছে। কিন্তু যে দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সূর্যসন্তানেরা, সেই দেশে কেন রাবন কিসকুর মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনযুদ্ধের অবসান হয় না! এই দায় থেকে আমরা মুক্ত হব কবে?

লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ২৪.কমে, প্রকাশকাল: ২২ মার্চ ২০১৬

এই সাইডে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

© 2016 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button