আদিবাসী

আদিবাসী কথকতা

আদিবাসী সমাজে প্রচলিত আছে অগণিত মিথ, রূপকথা, উপকথা ও পুরাকথা। যুগে যুগে এগুলো আদিবাসীদের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল এবং আছে। আদিবাসী বিশ্বাসের সেই কাহিনীগুলো বেশ চমকপ্রদ।

‘ঢোঁড়া সাপের বিষ নাই কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর মিলে রংপুরের একটি রাজবংশী গ্রামের আদিবাসীদের মুখে।’

মা মনসা একদিন সব সর্পকুলকে ডেকে বিষ প্রদান করলেন। ওই সময় তিনি লখিন্দরকে কামড়ানোর নির্দেশ দিলেন ঢোঁড়া সাপকে। এ কারণে তাকে সবার চেয়ে বেশি বিষও দেওয়া হলো। বিষ পেয়ে লখিন্দরকে কামড়াতে ঢোঁড়া সাপ যাত্রা শুরু করল। পথিমধ্যে পড়ল গঙ্গা। গঙ্গায়  ছিল অনেক মাছ। মাছ খাওয়ার লোভ সামলাতে পারল না ঢোঁড়া সাপ। সে কচুপাতায় বিষ রেখে মাছ খেতে খেতে গঙ্গা পার হতে থাকল। এদিকে কচুপাতায় রাখা বিষ পিঁপড়ে, শিংমাছ, টেংরামাছ, কাঁকড়া ইত্যাদিতে খেয়ে ফেলল। ঢোঁড়া সাপ ফিরে এসে দেখে, কচুপাতায় বিষ নেই। বিষ হারিয়ে সেই থেকে ঢোঁড়া বিষহীন সাপ। তার এই লোভের কর্মে মনসাদেবী হন মনঃক্ষুণ্ন। মনসা অভিশাপ দেন, ‘এখন থেকে সমস্ত মানুষ তোকে পায়ে মাড়াবে।’ ওই সময় থেকে তাই ঘটে আসছে। ঢোঁড়া সাপের বিষ খেয়েছিল বলেই পিঁপড়ে, শিংমাছ, টেংরামাছ, কাঁকড়া ইত্যাদির কাঁটায় আজও বিষ রয়েছে।

সাঁওতাল, ওঁরাও, ভুনজার আদিবাসীদের কাছে সাপ প্রজনন শক্তির প্রতীক। দিনাজপুরের বহবলদীঘির ভুনজার আদিবাসী সমাজে প্রচলিত আছে মনসার আবির্ভাবের একটি কাহিনী।

সওদাগর বাড়ির ছোট বউ ছিল পোয়াতি। একবার সে গোসল করতে যায় পুকুরপাড়ে । সেখানে কতগুলো মাছ মনের আনন্দে খেলা করছিল। তা দেখে ছোট বউ গামছা দিয়ে মাছগুলো ধরল । বাড়ি ফিরে সে মাটির হাঁড়িতে মাছগুলো  জিইয়ে রাখল। পরদিন মাছগুলোকে কাটার জন্য সে হাঁড়ি খুলে দেখল, সব মাছ সাপ হয়ে গেছে। সে তো অবাক! সাপগুলোকে সে অবহেলা করল না। বরং দুধকলা দিয়ে  তাদের পুষতে থাকল ।ছোট বউয়ের আপ্যায়নে সাপেরা খুশি হলো । তারা তাদের মা মনসার কাছে আবদার করলেন, ছোট বউকে যেন তাদের দেশে নিয়ে যাওয়া হয় । মনসা বাচ্চাদের কথা ফেলতে পারলেন না।

একদিন মনসা ছোট বউয়ের মাসি সেজে সওদাগরের বাড়িতে গেলেন। বাড়িতে ঢুকতেই সাওদাগরের গিনি্ন বললেন, ‘কে গো তুমি?’ । মনসা বললেন, ‘বেয়ানঠাকুরুণ, আমাকে চিনবেন না, আমি আপনার ছোট বউয়ের মাসি। বোনঝিকে যত্নআত্তি করতে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।’

অনুমতি পেয়ে মাসি বোনঝিকে রথে চড়ালেন এবং চোখ বন্ধ রাখতে বললেন। ছোট বউ তাই করল। এক সময় সে চোখ খুলে স্থির হয়ে গেল। মস্তবড় এক বাড়ি আর চমৎকার সব আসবাব। সেই বাড়িতে খেলা করছে ওই সাপগুলো। কয়েকটা দিন ভালোভাবেই কেটে গেল। একদিন কোনো এক কারণে সাপেরা রেগে গেল ছোট বউয়ের ওপর। তারা তাকে কামড়ানোর জন্য ধাওয়া করল। ওই সময় মনসা এসে ছোট বউকে বাঁচাল। তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় মনসা বলল, ‘আমি তোর মাসি নই। আমি মনসা। থাকি ফণীমনসা গাছে। তুই পৃথিবীতে গিয়ে আমার পূজার কথা বলবি । শ্রাবণ মাসের পুরো সময়টা আমার মঙ্গলকাহিনী গাইবি। পূজা দিবি। তাহলে আর সাপের ভয় থাকবে না। সন্তানের জন্যও কষ্ট পেতে হবে না। এই ব্রত যে করবে সে পরম সুখে থাকবে।’

ফিরে এসে ছোটবউ সব কথা সবাইকে খুলে বলল এবং নিজে মনসা পূজা শুরু করে দিল । ক্রমে দেশব্যাপী এভাবেই মনসার পূজা ও ব্রত অনুষ্ঠিত হতে থাকল।

তুরি, মুণ্ডা, কড়া ও ওঁরাও আদিবাসীদের কাছে বৃক্ষ দেবতাতুল্য। কড়াদের কাছে ‘কারমা পূজা’ সৌভাগ্য লাভের পূজা। ভাদ্র মাসে এ পূজায় এরা বিরল প্রজাতির ‘খিল কদম’ গাছের পূজা করে। এ পূজা প্রচলনের কাহিনী মিলে দিনাজপুরের হালজায় গ্রামের কড়া আদিবাসীদের জবানিতে।

কারাম আর ধারাম ছিল দুই ভাই। তাদের একমাত্র আদরের বোনের নাম পারাবেতী। একবার ভাদ্র মাসে গ্রামের এক ধনী ব্যক্তি ঢোল পিটিয়ে তার জমিতে ধান গাড়ার ‘হাউলি’র (কাজের বিনিময়ে খাওয়ানো) ডাক দেয় । গ্রামের অন্যদের সঙ্গে কারাম এবং ধারামও যায় সেখানে। ভোরবেলা কিছু চারা লাগিয়ে সকালের নাস্তা বা পনতা (পানতা) খেতে দুই ভাই কলা পাতা নিয়ে বসে যায় লাইনে। কিন্তু কারাম আর ধারামের কাছে এসেই শেষ হয়ে যায় পানতা । পানতা না পেয়ে দুই ভাই বড়ই দুঃখ পায় । নিজেকে সামলে নিয়ে বড় ভাই কারাম ছোটকে সান্ত্বনা দেয় । দুপুরে খাবারের আশায়  দুই ভাই আবার কাজে ফিরে যায় ।

তাদের ধানগাড়া শেষ হয় দুপুরে। কলাপাতা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে তারাও বসে পড়ে লাইনে। কিন্তু এবারও ঘটল একই ঘটনা। তাদের পর্যন্ত এসেই খাবার শেষ হয়ে গেল। এবার তারা খুবই কষ্ট পেল। প্রচণ্ড রাগে-কষ্টে ছোটভাই চাইল তার গাড়া ধানের চারাগুলো তুলে ফেলতে। বড় ভাই কারাম তাকে শান্ত করে বাড়ির দিকে রওনা হলো।  পথের কাছে ছিল একটি বটগাছ। তাদের দুঃখের কথা শুনে সে বলল, ‘তোদের কারমা কপাল জেড় গেল’ (তোমাদের কর্মভাগ্য পুড়ে গেছে)। সে উপদেশ দেয় সাত সমুদ্র লঙ্কা পার হয়ে কর্মভাগ্য নিয়ে আসার। কারাম ও ধারাম বাড়ি এসে রওনা হয় কর্মভাগ্য ফিরিয়ে আনতে।কিছুদূর যেতেই তাদের সঙ্গে দেখা হয় একটি কুল গাছের । কারাম ও ধারামের কথা শুনে সেও জানায়  তার দুঃখের কথা। তার ফল পেকে মাটিতে পড়ে  থাকে কিন্তু কেউ ওই ফল খায় না। তার ভাগ্যটিও জেনে আসার জন্য দুই ভাইকে সে অনুরোধ করে। যেতে যেতেই কারাম-ধারামের দেখা হয় একটি ডুমুর গাছের সঙ্গে। ডুমুর গাছ তাদের লঙ্কা পার হওয়ার কথা শুনে আফসোস করে বলে, ‘আমার এমন সুদৃশ্য ফল পেকে থাকে কিন্তু মানুষ ও পাখি সেদিকে ফিরেও তাকায় না।’  এ নিয়ে তার অনেক দুঃখ। সে অনুরোধ করে তার ভাগ্যটিও জেনে আসার। কিছুদূর যেতেই কারাম আর ধারামের সামনে পড়ে একটি নদী । নদীর তীরে দুটি হাতি মারামারি করছিল । তাদের পুরো শরীর কাদায় ঢাকা। কারাম-ধারামের কথা শুনে তারা দুঃখ করে বলে, ‘আমরা জানি না আর কতদিন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে কাঁদায় ঢাকা থাকব ।’  দুই ভাইকে তারা অনুরোধ করে তাদের ভাগ্যটিও জেনে আসার। নদী পার হয়ে কিছুদূর যেতেই কারাম-ধারাম লঙ্কার সমুদ্রের কাছে এসে পৌঁছায় । বিশাল সমুদ্র কিভাবে পার হওয়া যায় ? সে চিন্তায় তারা সমুদ্রতীরে বসে থাকে। ওই সমুদ্রে ছিল একটি বড় কুমির । কুমিরের গলায় কাঁটা বিঁধেছে সাতদিন আগে। কাঁটা বের করতে সে কারাম-ধারামের সাহায্য চায় । সমুদ্র পার করানো ও নিয়ে আসার শর্তে কারাম-ধারাম কুমিরের গলার কাঁটা বের করে দেয় । অতঃপর কুমিরের পিঠে চড়ে  দুভাই লংকার সমুদ্র পার হতেই দেখা পায়  কর্মভাগ্যের। কর্মভাগ্যের সারা শরীর তখন পোকায়  খাচ্ছিল । কারাম-ধারাম যখনই তা স্পর্শ করল তখনই সেটা গাছ হয়ে গেল। কারাম-ধারামের মধ্যে অন্যরকম শক্তির সঞ্চার হলো। তারা সেই গাছ ঘাড়ে নিয়ে ফিরতে থাকল । ফেরার পথে হাতি দুটো তাদের ভাগ্যের কথা জানতে চাইলে কারাম-ধারাম বলল, তোমাদের এমন একজন লাগবে যে তোমাদের শরীর পরিষ্কার করে দেবে। হাতি দুটি কারাম-ধারামকে অনুরোধ করল তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারাম-ধারাম দুই হাতির পিঠে চড়ে বসল। এরপর ডুমুর গাছ তার ভাগ্যের কথা জানতে চাইলে তারা বলল, তোমার গোড়ার মাটির নিচে সাত কলসি ধন আছে সেটি সরালেই তোমার ফল সবাই খাবে। ডুমুর গাছ কারাম-ধারামকে সাত কলস ধন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করল। তারা সাত কলস ধন হাতির পিঠে তুলে নিল । কুল গাছের সঙ্গে দেখা হতেই কারাম-ধারাম তাকেও একই কথা বলল । সেও মাটির নিচের সাত কলস ধন তুলে নেওয়ার  মিনতি করল। কারাম-ধারাম তাই করল ।

বটগাছ কর্মভাগ্যরূপী গাছটিকে মাটিতে গেড়ে তাদের বোন পারাবেতীকে এনে পূজা করার নির্দেশ দিল। ওই সময় থেকেই কারাম পূজার প্রচলন হয় । পাহাড় ও নদী নিয়েও আদিবাসী সমাজে প্রচলিত আছে নানা কাহিনী। যার মাধ্যমেই আদিবাসী শিশুরা আজও আত্দত্যাগের শিক্ষা পেয়ে আসছে। লুসাই পাহাড় থেকে উদ্ভূত কর্ণফুলী নদীরই একটি শাখা তুইচং নদী। লুসাই সমাজে এ নদীর জন্ম নিয়ে  প্রচলিত আছে তেমনি একটি কাহিনী- তুইচংগী ও নোয়েংগী নামে ছিল দুই বোন। দুই বোনের মধ্যে ছিল খুব ভাব। একদিন দুই বোন মিলে গেল গহিন অরণ্যে। তাদের ইচ্ছা জুমচাষ করার। ওই সময় ছিল চৈত্র মাস। হঠাৎ ছোট বোনের প্রচণ্ড পিপাসা পায় । কিন্তু অরণ্যের কোথাও পানি নেই। পানি না হলে তো তাকে বাঁচানো দায় । বড় বোন তুইচংগী জাদুমন্ত্র জানত। ছোটবোনকে বাঁচাতে তিনি মন্ত্রবলে নদী হয়ে গেলেন। ওই নদীর পানিতে ছোটবোন নোয়েংগী পিপাসা মিটিয়ে জীবন বাঁচাল । কিন্তু বড়বোনকে না পেয়ে তার দুঃখের সীমা রইল না। সে নদীর পাড়ে ব সে কাঁদতে শুরু করল । বোনের কান্নায় নদীর পানি গেল বেড়ে । ওই পানিতে ভাটির দেশ গেল ডুবে।

ভাটি অঞ্চলের রাজা অসময়ে এমন প্লাবন দেখে চিন্তিত হয়ে পড়লেন । তিনি পানসি সাজিয়ে বের হলেন নদীর উৎস সন্ধানে। দীর্ঘদিন চলার পর রাজা এসে পৌঁছলেন এক পাহাড়ের পাদদেশে । নদীর উৎসমুখে বসে কাঁদছে এক সুন্দরী কন্যা। রাজা ওই সুন্দরী কন্যা নোয়েংগীকে দেখে মুগ্ধ হলেন এবং বিয়ে করে নিয়ে এলেন নিজ বাড়িতে। নোয়েংগী ছাড়াও রাজার ছিল আরও তিন রানী । তাকে দেখে তারা হিংস্র  হয়ে উঠলেন। কিন্তু নোয়েংগী অন্য রানীদের বেশ শ্রদ্ধা করতেন। এভাবেই দিন কাটতে থাকল। নোয়েংগীর ঘরে এলো একটি ফুটফুটে সুন্দর ছেলে ।  কিন্তু অন্য রানীরা ছিলেন আটকুঁড়ে । তারা এই ছেলেকে মেরে ফেলতে চাইল।  তা না হলে রাজার নজর থাকবে শুধুই নোয়েংগীর ওপর। তারা ছেলেটিকে চুরি করে ফেলে দিল নদীতে। নদী হলো তার মায়ের বোন। বোনের ছেলেকে নদী লালন-পালন করতে থাকল । এভাবে নোয়েংগীর ঘরে পরপর আরও তিনটি ছেলে হলো । সবাইকেই সতীনেরা নদীতে ফেলে দিল। কিন্তু এত অত্যাচারের পরও নোয়েংগী কোনো কথাই রাজাকে জানাল না।

ওদিকে নদী নোয়েংগীর চার সন্তানকেই লালন-পালন করে বড় করে তুলল । তারাও যোগ্য মানুষ হিসেবে বড় হলো । একদিন নদী তাদেরকে রাজদরবারে পাঠিয়ে দিল। রাজা তাদের সুন্দর চেহারা, নাচগান ও মধুর কথাবার্তা শুনে অবাক হলেন। রাজা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কে ? ‘ চার ছেলে একসঙ্গে উত্তর দিল, ‘ আমরা আপনার ছেলে । ‘ অতঃপর তারা রাজার কাছে সব খুলে বলল । সব শুনে রাজা তো অবাক। রাজা স্ত্রী নোয়েংগীকে ডেকে পাঠালেন । সব শুনে রাজা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হলেন। তিনি তিন রানীকে কেটে অরণ্যে পুঁতে ফেলার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর রাজা তার চারপুত্রসহ আনন্দে দিন কাটাতে লাগলেন । এ কারণে তুইচংগী কেবল নদী নয়, লুসাই আদিবাসী সমাজের কাছে পরম শ্রদ্ধার স্থান।

পাহাড়, বন ও প্রকৃতিই আদিবাসীদের জীবন । কিন্তু এদেশে দখল হচ্ছে পাহাড়, উজাড় হচ্ছে বন, ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি । ফলে দেশ, সমাজ ও গোত্র ছাড়া  হচ্ছে প্রকৃতজনেরা। দারিদ্র্য, ভূমিদস্যুদের সঙ্গে লড়াই আর ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রলোভনে আদিবাসীরা হারিয়ে ফেলছে নিজস্ব আচার ও রীতিনীতিগুলো । কিন্তু এখনো হারায়নি তাদের সমৃদ্ধময় মিথ, রূপকথা ও উপকথাগুলো।

লিখাটি প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে, ১২ এপ্রিল ২০১৩

WARNING :
If anyone wants to share this content, please contact me. If any unauthorised use or reproduction of salekkhokon.me content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

© 2013 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button