আদিবাসী

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে আদিবাসী

একটি জাতিকে চেনার উপায় তার সংস্কৃতি। কোনো জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত না রাখলে আসে জাতিগত সংকট। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বসবাস করছেন নানা জাতিগোষ্ঠির মানুষ। আদিবাসীরাও এর অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত নিজস্ব সংস্কৃতি। সংখ্যাগুরুর আগ্রাসী সংস্কৃতি তা বিপন্ন করে দিতে চায়। কিন্তু শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আদিবাসীরা ধরে রেখেছেন নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বজায় রেখেছেন স্বকীয়তা। আদিবাসী-গবেষক সালেক খোকন নিংড়ে বের করে এনেছেন তাঁদের বিচিত্র সব সংস্কৃতি। কখনো গল্পের ছলে, কখনো-বা প্রতিবেদন হিসেবে আর কখনো-বা নিরেট বর্ণনায় তুলে ধরেন গারো, কড়া, হাজং, ভুনজার, সাঁওতাল, মুশহর, মুন্ডা, ওরাও, রাখাইন, তুরি ও মাহালিদের জীবনের নানা চিত্র। তাঁদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, ঘাত-প্রতিঘাত, বঞ্ছনা-লাঞ্ছনা আর নিপীড়নের কথা উঠে আসে তাঁর সাবলীল গদ্যে। তাঁদের ধর্মীয় ও দৈনন্দিন নানা আচার, অনুষ্ঠান, উৎসব, রূপকথা, লোক-ধাঁধা, অস্তিত্বের লড়াই ও বীরত্বের কাহিনীসহ সংস্কৃতির নানা বৈচিত্র্য স্বতস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে আসে তার জাদুকলমে। ‘সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে আদিবাসী’ অনুসন্ধিসু পাঠকের জন্য একটি অনন্য বই। গবেষণা-সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।

ভূমিকা :

সরকারি চাকরিতে বদলির ধাক্কা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। নাচোল থেকে হালুয়াঘাট, সেখান থেকে এসেছি দিনাজপুরে। মাঝে মাঝে যেতে হয়েছে নেত্রকোনার প্রত্যন্ত দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে। এই অঞ্চলগুলোতে পাড়াভেদে বাস করে তুরি, মুশহর, মাহালি, ভুনজার, সাঁওতাল, মুন্ডা, কড়া, গারো এবং ওঁরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে জানাশোনা হয় তাঁদের সঙ্গে ।

বছর চারেক আগের কথা। একদিন দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এক আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে বেশ অবাক হই। পূর্বপুরুষদের জাতধর্ম বুকে নিয়ে সেখানে কোনরকম টিকে আছে একটি সম্প্রদায়। আদিবাসী এ সম্প্রদায়টির নাম ‘কড়া’। খোঁজ নিয়ে জানলাম এদেশে এটিই কড়াদের একমাত্র পাড়া। টিকে আছে মাত্র ১৯টি পরিবার। ভাবা যায়, এ দেশ থেকে নিঃশব্দে হারিয়ে যাচ্ছে একটি জাতি। হারিয়ে যাচ্ছে একটি ভাষা, সংস্কৃতি আর জাতির আচারগুলো। মূলত কড়াদের দলবদ্ধতা, সততা, পরিশ্রম আর সরলতায় আমি মুগ্ধ হই। কড়াদের টিকিয়ে রাখতেই আদিবাসী বিষয়ে কলম ধরা শুরু।

দিনের পর দিন খুব কাছ থেকে দেখছি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের পূজাপার্বণ, জীবনযাপন, গোত্র পরিচালনা, প্রতিবাদ আর বিশ্বাসের নানা লোকাচারগুলো। দেখেছি – এ আমলেও অভাবের সময়টাতে কীভাবে আদিবাসীরা আগাম শ্রম বিক্রি করে মহাজনদের কাছে, জাতধর্ম নিয়ে আঁকড়ে থাকা আদিবাসীরা কীভাবে শোষিত হচ্ছে ধর্মান্তরিত আদিবাসীদের দ্বারা, কী করে হিন্দি কালচার ঢুকে যাচ্ছে আদিবাসী উৎসব আর সংস্কৃতির মাঝে, এরই পাশে বাংলাভাষার জাঁতাকলে আদিবাসীরা হারিয়ে ফেলছে নিজের মায়ের ভাষাটিকে। হাজার হাজার বছর ধরে যেসব বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি প্রচলিত ছিল আদিবাসী সমাজে, দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে সেগুলোও। হারিয়ে যাচ্ছে তাঁদের চিরচেনা বিশ্বাস বা লোককথা বা সাংস্কৃতিক আচারগুলো।

গত বই মেলায় ‘আদিবাসী মিথ এবং অন্যান্য’ বইয়ে তুলে এনেছিলাম আদিবাসীদের বিশ্বাসের মিথগুলো। এবার এ বইটিতে তুলে আনার চেষ্টা করেছি আদিবাসীদের জীবন, সংগ্রাম, বিশ্বাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আর পূর্বপুরুষদের আচারগুলোকে।

বই প্রাপ্তিস্থান :  

আজিজ সুপার  মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা (প্রথমা,বিদিত,জনন্তিকা,পলল )

কনকর্ড ভবন, কাটাবন, ঢাকা  (প্রকৃতি, মধ্যমা, গদ্যপদ্য )

নিউ মার্কেট,ঢাকা ( বুক মার্ট, আলিগড় লাইব্রেরি  )

এবং দেশের সকল  অভিজাত বই বিপণিতে

প্রকাশক : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ , ৩৮/৩ বাংলা বাজার, ঢাকা- ১১০০, দূরভাষ : ৭১২৪৭৬০, মুঠোফোন :  ০১৭১২ ২৩৫৩৪২

ঘরে বসে বইটি পেতে :  click here

বইটি নিয়ে প্রকাশিত কিছু তথ্য :

বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত রিভিউ শুনতে : click here

১৬ মার্চ ২০১২ : বই পরিচিতি : সমকালে কালের খেয়ায়

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ : ইন্টারভিউ প্রচার এবং আলোচিত বইয়ের তালিকায় বইয়ের কথা প্রকাশ  : ইটিভি ( আমাদের বইমেলা অনুষ্ঠানে )

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : ইন্টারভিউ : বাংলানিউজ২৪.কমে

১৭  ফেব্রুয়ারি ২০১২ : ইন্টারভিউ প্রচার : এটিএন বাংলা ও চ্যানেল আই

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : একুশে বইমেলা ২০১২ ব্লগে প্রকাশিত

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : ইন্টারভিউ প্রচার : বাংলাভিশন, সময় টেলিভিশন ( ইয়ুথ ক্লাব অনুষ্ঠানে )।

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : প্রথমআলো ব্লগে
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : বার্তানেট২৪.কম

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : ইন্টারভিউ প্রচার : এটিএন নিউজ২৪ এ।

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে :  প্রথমআলো ব্লগে

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে : মোড়ক উন্মোচনের সংবাদ ও লেখকের বক্তব্য প্রচার : চ্যানেল৯, আরটিভি, এনটিভি, দিগন্ত, বাংলাভিশন, চ্যানেল আই ।

৩১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে  :   বাংলা নিউজ২৪.কম   

৩১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে :  চতুমার্ত্রিক ব্লগে

৩১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে :  লেখক.নেট ব্লগে

৩১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে : লেখক.নেট ব্লগে

© 2011 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button