কীর্তিমান বাঙালি

জগদীশ গুপ্ত ও বনফুল ( গল্পকার ও কথাশিল্পী )

জগদীশ গুপ্ত :

জগদীশ গুপ্ত কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ছোটগল্পকার হিসেবেই বাংলা সাহিত্যে তিনি স্থায়ী আসন লাভ করেন। তিনি গল্প ও উপন্যাস  রচনার ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেকেই তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের জনক বলে থাকেন। জগদীশ গুপ্ত ১৮৮৬ খ্রীস্টাব্দে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি সিটি স্কুল ও রিপন কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে টাইপিষ্টের কাজ করতেন।  বিনোদিনী, উদয় লিখা, মেঘাবৃত, অশনি প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ । ‌’ জগদীস গুপ্তের গল্প : পঙ্গ ও পঙ্গজ’ – নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন ভীষ্মদেব চৌধুরী । জগদীশ গুপ্ত পরলোকগমন করেন ১৯৫৭ খ্রীস্টাব্দে ।

বনফুল ( বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ) :

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ‘বনফুল’ নামে পরিচিত। তিনি ১৮৯৯ খ্রীস্টাব্দে বিহারের পূর্ণিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। সাহেবগঞ্জ হাইস্কুলে পড়ার সময় তাঁর প্রথম কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কবিতাটির নাম ছিল ‘ মালঞ্চ’ । পরবর্তীতে বিশ্বভারতীতেও কবিতা ছাপা হয়। তিনি হাজারীবাগ সেন্ট কলেজ থেকে আই,এস,সি পাশ করার পর ডাক্তারী পড়তে আসে।

কলকাতা মেডিকেল কলেজে। ১৯৭২ সালে তিনি ডাক্তারী পাশ করেন। তিনি প্যাথলজিষ্ট হিসেবে কাজ করেন প্রায় ৪০ বছর। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ক্ষুদ্রতম ছোটগল্পের জনক। তাঁর গল্পের ধরন আকস্মিকভাবে শুরু হয়ে আকস্মিকভাবেই শেষ হয়ে যাওয়া । পক্ষীজগত নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘ডানা’ উপন্যাসটি। তিনি রবীন্দ্র পুরষ্কার, জগত্তারণী পদক লাভ করেন। এছাড়া তিনি ভাগলপুর ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়ল থেকে ডি,লিট উপাধি পান। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা – স্থাবর, জঙ্গম, মন্ত্রমুগ্ধ, হাটেবাজারে, কিছুকাল, বিন্দুবিসর্গ,দ্বৈরথ, ভীমপলশ্রী, শ্রীমধূসূদন, বিদ্যাসাগর প্রভৃতি। পশ্চাতপট তাঁর আত্মজীবনিমূলক গ্রন্থ। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পরলোকগমন করেন।

© 2011 – 2018, https:.

এই ওয়েবসাইটটি কপিরাইট আইনে নিবন্ধিত। নিবন্ধন নং: 14864-copr । সাইটটিতে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো তথ্য, সংবাদ, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Show More

Salek Khokon

সালেক খোকনের জন্ম ঢাকায়। পৈতৃক ভিটে ঢাকার বাড্ডা থানাধীন বড় বেরাইদে। কিন্তু তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার কাফরুলে। ঢাকা শহরেই বেড়ে ওঠা, শিক্ষা ও কর্মজীবন। ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক সংস্কৃতির প্রতি। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। যুক্ত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও থিয়েটারের সঙ্গেও। তাঁর রচিত ‘যুদ্ধদিনের গদ্য ও প্রামাণ্য’ গ্রন্থটি ২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘কালি ও কলম’পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী ও ভ্রমণবিষয়ক লেখায় আগ্রহ বেশি। নিয়মিত লিখছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক, সাপ্তাহিক, ব্লগ এবং অনলাইন পত্রিকায়। লেখার পাশাপাশি আলোকচিত্রে নানা ঘটনা তুলে আনতে ‘পাঠশালা’ ও ‘কাউন্টার ফটো’ থেকে সমাপ্ত করেছেন ফটোগ্রাফির বিশেষ কোর্স। স্বপ্ন দেখেন মুক্তিযুদ্ধ, আদিবাসী এবং দেশের কৃষ্টি নিয়ে ভিন্ন ধরনের তথ্য ও গবেষণামূলক কাজ করার। সহধর্মিণী তানিয়া আক্তার মিমি এবং দুই মেয়ে পৃথা প্রণোদনা ও আদিবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button